বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোসাঃ কামরুননেছার বিরুদ্ধে দুর্নীতির মাধ্যমে সরকারি অর্থ উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে। মাধ্যমিক কর্মকর্তা মোসাঃ কামরুনেনছা ২১ জুন ২০২২ সাল থেকে চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বে থাকাকালিন এপর্যন্ত তিনি, অফিসের মটর সাইকেল ব্যবহার না করে জ্বলানী তেল ও মবিল বাবদ ভুঁয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে অর্ধ লক্ষাধিক সরকারি টাকা আত্মসাত করেছেন বলে একটি বিশেষ সূত্র থেকে জানা গেছে।
২১ জুন ২০২২ সালে মোসাঃ কামরুননেছা চিতলমারী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের দায়িত্ব গ্রহন করেন। দায়িত্বকালিন সময় থেকে ২০২৫ সালের মার্চ মাস পর্যন্ত তিনি অফিসের সরকারি মটর সাইকেল ব্যবহার না করে, তার জ্বালানি ও মবিল বাবদ ভুঁয়া বিল-ভাউচার প্রদান করে ৬৪, ৪২০টাকা আত্মসাত করেছেন।
সুত্রটি জানায় প্রতিমাসে ১৪ লিটার পেট্রোল বাবদ ১৮২০টাকা এবং ২মাস অন্তর ১গ্যালন মবিল বাবদ উত্তোল করেছেন ৫০০ টাকা। নাম প্রকাশ না করা শর্তে অনেকে জানান, মোসাঃ কামরুননেছা তার বিভিন্ন বিদ্যালয় ভিজিট না করে টিএ বিল উত্তোলন করে চলেছেন।
তার বিরুদ্ধে শিক্ষক প্রশিক্ষণের স্থলে স্থানীয় বড়বাড়িয়া রহমানিয়া ডিগ্রি মাদ্রাসার অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটরকে প্রশিক্ষণের সুযোগ দিয়ে সরকারি অর্থ অপব্যবহারের মাধ্যমে স্বজন প্রিতির অভিযোগ রয়েছে। ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ হাসিনা বেগম মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ৩০ জন শিক্ষকের সাথে উক্ত প্রশিক্ষণ গ্রহন করেন ওই কর্মচারী।
এছাড়া স্বৈরা শাসক শেখ হাসিনা দেশ থেকে পালিয়ে যাবার পর থেকে এই কর্মকর্তা টানা ১৫ কার্য দিবস অফিসে না এসে এক সাথে হাজিরা টেনে বিল - বেতন উত্তোলন করেন।
বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী নিয়োগ সংক্রান্ত উৎকোচ গ্রহন ও বিদ্যালয়ের কমিটি সংক্রান্ত জটিলতায় তদন্তের নামে কালক্ষেপ। উৎকোচ গ্রহন করেন এবং পক্ষ- বিপক্ষকে হয়রানির অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।
সুত্রটি জানায়, ২০২৪ সালে শিক্ষা অফিসার কামরুননেছা স্বামীর অসুস্থ জনিত কারনে চিকিৎসার জন্য ঢাকায় অবস্থান করেন। ওই ২মাস অফিসে না এসেও টিএবিল এর টাকা তুলে নেন। এব্যপারে শিক্ষা অফিসার কামরুননেছার সাথে আমার দেশ প্রতিনিধির কথা হওে তিনি বলেন, যা করেছি নিয়মের মধ্যে থেকেই করেছি।