নীলফামারীর সৈয়দপুরে পানি নিস্কাশনের প্রধান ড্রেনের উপর দোকান নির্মাণ করা হয়েছে। এতে করে ড্রেনের ময়লা আবর্জনা পরিস্কার করতে পারছে না পৌরসভার দায়িত্বে থাকা পরিচ্ছন্নতাকারীরা। এদিকে দোকানটির পিছনে রয়েছে একটি বিশাল মার্কেট। ওই মার্কেটে যেতে হলে ওই গলি পথ দিয়ে প্রবেশ করতে হয়। কিন্তু পান দোকানটি হওয়ায় একদিকে ড্রেন পরিস্কারে বাঁধা অপরপাশে মার্কেটের ভিতরে প্রবেশের পথ বন্ধ হয়ে গেছে। ফলে দিশেহারা হয়েছে ব্যবসায়িসহ পৌর কর্তৃপক্ষ। এ ঘটনাটি পৌর বাজারের শহীদ ডাঃ জিকরুল হক সড়ক ও শহীদ ডাঃ সামশুল হক সড়কের মধ্যস্থানে।
এ বিষয়ে ঢাকা ক্লোথ স্টোর,লাকী ক্লোথ স্টোর,মতি টেইলর, দুলু হোটেলের মালিকসহ বেশ কয়েকজন জানান,গলিপথ বন্ধ করে কাল্লু নামে একজন সেখানে ড্রেনের উপর পান দোকান দিয়ে বসেন। তিনি মারা যাওয়ার পর তার ছেলে সাব্বির হোসেন বর্তমানে দোকানটি করে আসছে। সড়ক বন্ধ করে ড্রেনের উপর দোকান সড়াতে বললে সে কারো কথা শুনছে না। এ বিষয়ে সৈয়দপুর ব্যবসায়ি সমিতি বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসলেও কোন সুরাহা হয়নি।
তবে পান দোকানদার সাব্বির মোটা অংকের টাকা দাবি করে বসে। টাকা না দিলে দোকান সড়াবে না এমন কথা সাফ জানিয়ে দেয়।
এদিকে সড়ক ও ড্রেনের উপর থেকে পান দোকানটি সড়াতে ৩৯ জন ব্যবসায়ি সৈয়দপুর পৌর প্রশাসক মোঃ নুর -ই- আলম সিদ্দিকী বরাবর একটি স্মারকলিপি প্রদান করে। কিন্তু তাতেও কোন কাজ হচ্ছে না।
পান দোকানটির পিছনে ৪০টি বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তাছাড়া ওই পান দোকানের পিছনে প্রায়ই সময় বখাটেরা এসে নেশা সেবন করে।
পান দোকানটির কারণে পৌরসভা ড্রেন পরিস্কার করতে পারে না। ফলে পঁচানো ময়লা আবর্জনার বিশ্রী দুর্গন্ধে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বসে থাকা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি সিগরেট ধুমপায়ীরা দিয়াশলাইয়ের আগুন যেখানে সেখানে ফেলে দিয়ে যায়। এতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে।
যার কারণে বড় ধরনের ক্ষতির আশংকা করছে ব্যবসায়িরা।
ঘটনা স্থান পরিদর্শন করে ওই অবৈধ পান দোকানটি সড়িয়ে নিতে পৌর প্রশাসক মহোদয়ের প্রতি অনুরোধ করেছেন ৩৯ জন ব্যবসায়ি।