হাট ও বাজারে দরপত্র ক্রয়ে নিষেধ করাকে কেন্দ্র করে জেলার গৌরনদী উপজেলার বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপির দুই গ্রুপের নেতাকর্মীদের মধ্যে বুধবার দিবাগত রাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পরে। এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধ মীমাংসার কথা বলে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদারকে ডেকে নিয়ে হাতুরি পেটা করে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা গুরুত্বর আহতদের উদ্ধার করে রাতেই গৌরনদী উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। ঘটনার পর ওই এলাকায় চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পরেছে।
বৃহস্পতিবার সকালে হামলায় গুরুত্বর আহত উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস অভিযোগ করেন, বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খোকন ফকির ও তার সহযোগিরা তাদের হাতুরি পেটা করে গুরুত্বর আহত করেছে। তিনি আরও জানিয়েছেন, বাটাজোরের হাট ও বাজারের ইজারার জন্য দরপত্র আহবান করার পর স্থানীয় কেন্দ্রীয় বিএনপির এক নেতার অনুসারী ইউনিয়ন বিএনপির প্রভাবশালী নেতা খোকন ফকির তাদের দরপত্র ক্রয় করতে নিষেধ করে আসছিলো। তার নিষেধ উপেক্ষা করে তারা দরপত্র ক্রয় করতে চাইলে উভয়েরমধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। পরবর্তীতে বুধবার (১৯ মার্চ) দিবাগত রাতে খোকন ফকির বিষয়টি সমাধানের কথা বলে ডেকে নিয়ে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে তাকে (মনির বিশ্বাস) ও যুবদল নেতা মামুন সরদারকে রক্তাক্ত জখম করে।
বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদার অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা বিএনপির আহবায়কের নির্দেশে খোকন ফকির হাট ও বাজারের দরপত্র ফরম ক্রয় করতে তাদের বাঁধা প্রদান করে আসছিলো। এনিয়ে সৃষ্ট বিরোধের জেরধরে খোকন ও তার সহযোগিরা পরিকল্পিতভাবে আমাকে ও মনির বিশ্বাসকে ডেকে নিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়ে হাতুরি পেটা করে গুরুত্বর আহত করেছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
হামলা ও দরপত্র ক্রয়ে বাঁধার অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে বাটাজোর ইউনিয়ন বিএনপি নেতা খোকন ফকির বলেন, কেবা কারা এ হামলা চালিয়েছে তা আমার জানা নেই। পূর্ব শত্রুতার জেরধরে হামলার ঘটনার সাথে আমাকে জড়িয়ে মিথ্যে অপপ্রচার করা হচ্ছে। গৌরনদী মডেল থানার ওসি মো. ইউনুস মিয়া বলেন, এ ঘটনায় এখনো কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
অপরদিকে উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক মনির বিশ্বাস ও বাটাজোর ইউনিয়ন যুবদল নেতা মামুন সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাতুরি পেটা করে গুরুত্বর জখমের ঘটনায় বিএনপি ও তার সকল অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। রাতে হাসপাতাল কম্পাউন্ডে উপস্থিত নেতাকর্মীরা এ হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তারপূর্বক দল থেকে বহিস্কারের জন্য জোর দাবি করেছেন।