পাবনার চাটমোহর উপজেলার হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল ও পাঁচবাড়িয়া এলাকা দুই পক্ষের অধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে অশান্ত হয়ে উঠেছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন এলাকার সাধারণ মানুষ। বিএনপি’র দু’পক্ষের মধ্যে প্রায় দিনই চলছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা।
অধিপত্য বিস্তারের জের ধরে রবিবার (২৩ মার্চ) প্রতিপক্ষের মারপিটে ও ধারালো অস্ত্রের আঘাতে বিএনপি’র এক নেতা গুরুতর আহত হয়েছেন। আহত ব্যক্তি হলেন চড়ইকোল গ্রামের মৃত কমর উদ্দিনের ছেলে গাজিউর রহমান গাজী (৫৫)। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার সকাল ১১টার দিকে উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের বাহাদুরপুর গ্রামের সড়কের উপর। আহত গাজীকে প্রথমে চাটমোহর ও পরে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
জানা গেছে,গাজী রবিবার সকালে বাড়ি থেকে মোটরসাইকেল যোগে চাটমোহরে আসছিলেন। পথিমধ্যে তার প্রতিপক্ষ শাজাহান মেম্বার গং তার পথরোধ করে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে হামলাকারীরা চলে যায়। লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। আহত গাজী পাচবাড়িয়া গ্রামের আশরাফ আলী মোল্লাকে মারপিট ও হত্যাচেষ্টা মামলার ১নং আসামি।
এরআগে গত ২০ মার্চ পাচবাড়িয়া গ্রামের মৃত আক্কেল আলী মোল্লার ছেলে আশরাফ আলী মোল্লা (৬৫) কে কুপিয়ে জখম করে গাজী গং। তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা হয়েছে।
চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম জানান,আগের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আজকে (২৩ মার্চ) ফের হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে যায়। এলাকায় পুলিশ টহল বাড়ানো হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান,হরিপুর ইউনিয়নের চড়ইকোল গ্রামের বিএনপি নেতা কফিল উদ্দিন ও তার ভাই গাজিউর রহমানের সাথে এলাকার অধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধের সৃষ্টি হয় সাবেক ইউপি সদস্য শাজাহান আলী গং এর। উভয় পক্ষের মধ্যে ঘটছে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও মারপিটের ঘটনা। এনিয়ে গত বুধবার রাতে থানায় বৈঠক বসে। বৃহস্পতিবার সকালে হরিপুর ইউনিয়ন বিএনপি’র সাবেক সভাপতি কফিল উদ্দিন ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টি মীমাংসার জন্য চড়ইকোল বাজারে বসেন। কিন্তু কোন পক্ষই শান্ত হচ্ছেনা।