জেলার বানারীপাড়া উপজেলার ইলুহার ইউনিয়নের পবনেরহাটে সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে তিন দফা হামলা চালিয়ে দোকান ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগে বিএনপি নেতাসহ সাতজনের নামোল্লেক করে আরও সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ইলুহার ইউনিয়নের মলুহার গ্রামের অবসরপ্রাপ্ত পরিবার কল্যাণ সহকারি নুরজাহান বেগম বাদি হয়ে রবিবার দিবাগত রাতে বানারীপাড়া থানায় এ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার আসামিরা হলেন-ইলুহার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদ, তার সহযোগি মোস্তফা কামাল, গোলাম কাওসার নবীন, সেলিম গোমস্তা, মো. নিজাম, সিরাজুল ইসলাম ও জাকির হোসেন। এছাড়াও মামলায় সাতজনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে মামলা সূত্রে জানা গেছে, নুরজাহান বেগমসহ ১২ জন মিলে ১৯৯৭ সালে ইলুহার ইউনিয়নের পবনের হাটে ১৮ শতক জমি ক্রয় করেন। ক্রয়সূত্রে মালিক হয়ে নুরজাহান বেগম দুই শতক সম্পত্তিতে দোকানঘর নির্মান করে ভাড়া দিয়ে ভোগ দখল করে আসছেন। দোকান ঘরসহ ওই সম্পত্তি জবর দখলের উদ্দেশ্যে গত ৭ ডিসেম্বর সকাল ও দুপুরে দুই দফা এবং মামলা দায়েরের খবর পেয়ে ৮ ডিসেম্বর রাতে তৃতীয় দফা আসামিরা হামলা চালিয়ে দোকানঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করে। এসময় তারা নগদ টাকা ও মালামালসহ ওই দোকানঘর ভাঙচুর করে নিশ্চিহ্ন এবং লুটপাট করার পাশাপাশি পল্লী বিদ্যুতের মিটার খুলে নিয়ে যায়। মামলা দায়েরের পর সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লবনসাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর মো. লিয়াকত আলী বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দোকানঘরের টিনসহ কিছু মালামাল জব্দ করা হয়েছে। বানারীপাড়া থানার ওসি মো. মোস্তফা বলেন, আসামিদের গ্রেপ্ততারের জন্য পুলিশের অভিযান চলছে। তবে হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পুরোপুরি অস্বীকার করে ইলুহার ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাকিল আহম্মেদ বলেন, আমার প্রতিপক্ষের লোকজনে ষড়যন্ত্র করে মামলায় আমাকে আসামি করিয়েছেন।