গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলা সদর ইউনিয়নের খোদাদিয়া গ্রামের বিধবা আকলিমা খাতুন পিছুনির দুই কক্ষের টিনের ঘরের সব কিছুই আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এসময় পাশের মাহফুজের তিনটি কক্ষ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ৬ এপ্রিল রোববার বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে কাপাসিয়া সাব রেজিষ্ট্রি অফিসের পূর্ব পাশের পিছুনির বাড়িতে আগুন লাগলে আগুন নিভাতে ছুটে আসেন আশপাশের মানুষ। কিন্ত ঘরের বেড়া ও চালের টিনে আগুন ছড়িয়ে পড়লে ধাউ ধাউ করে জ্বলতে থাকে ঘরের সব আসবাবপত্র। আগুনের লেলিহান শিখা ছড়িয়ে পড়ে পাশের মাহফুজের বাড়িতে। প্রতিবেশিরা কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে প্রায় ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের চেষ্টায় তারা আগুন নিভাতে সক্ষম হন।
বিধবা আকলিমা খাতুন জানান, সংসার জীবনে তার কোনো সন্তান না থাকায় তাকে এ বয়সে এসে অনেক কষ্টে জীবন যাবন করতে হয়। তিনি বর্তমানে একটি ছোট খামারে কয়েকটি গরু লালন পালন করে জীবন যাপন করছেন। রোববার দুপুরের দিকে আশপাশের মাঠে কয়েকটি গরু চড়াতে গিয়েছিলেন তিনি। পরে সাড়ে তিনটার দিকে ঘরের দরজা খুলেই তিনি ঘরের জিনিসপত্র আগুনে জ্বলতে দেখেন। এ সময় ঘরে ঢ়ুকতে না পেরে তিনি কান্নাকাটি শুরু করলে আসপাশের লোকজন ছুটে এসে আগুন নিভাতে চেষ্টা করেন।
তিনি আরো জানান, একজন মানুষের জীবন চালাতে যত ধরনের আসবাবপত্র ও তৈজসপত্র লাগে তার সব কিছুই তার দুটি কক্ষে যোগার করেছিলেন তিনি। তার ঘরের মাঝে থাকা একটি ফ্রিজ, একটি টেলিভিশন, একটি আলমারি, দুটি খাট, এক বছরের খাবারের চাল, দুই ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ চার লক্ষ টাকা এবং পোশাক পরিচ্ছদসহ সব কিছুই পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
কাপাসিয়া ফায়ার সার্ভিসের সাব অফিসার মোঃ জাকির হোসেন জানান, খবর পেয়ে তাদের দুটি ইউনিট ১ ঘন্টা ২০ মিনিটের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণ নিয়ে আসতে পারলেও আকলিমার ঘরের সব কিছুই পড়ে ছাই হয়ে যায়। এ সময় পাশের বাড়ির মাহফুজের ঘরের বেশ কিছু আসবাবপত্র ও টিনের চাল আগুনে পুড়ে গেছে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, বৈদ্যুতিক সর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে।
এ বিষয়ে কাপাসিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তামান্না তাসনীম জানান, আগুনে নিঃস্ব হয়ে যাওয়া ওই নারীকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিকভাবে সহযোগিতা করা হবে।