রংপুরের বদরগজ্ঞে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বিএনপি নেতা লাভলু মিয়া নিহত হবার ঘটনায় ১২ জন বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মী সহ অজ্ঞাত দেড়শ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত বিএনপি নেতা লাভলুর ছেলে রায়হান কবীর বাদী হয়ে এই মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় দুই বিএনপি কর্মী হাবিবুর রহমান হৃদয় ও মোরশালিনকে সোমবার সকালে গ্রেতার করেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বদরগজ্ঞ থানার ওসি এস এম আতিকুর রহমান।
অন্যদিকে বদরগজ্ঞে বিএনপি দু গ্রুপে সংঘর্ষে বিএনপি নেতা লাভলু নিহত ও ৬ নেতা গুরুতর আহত হবার ঘটনায় সাবেক এমপি মোহাম্মদ আলী সরকার সহ ৮ বিএনপি নেতাকে বিএনপি থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।
রোববার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়েছে।
বহিস্কৃতরা হলেন সাবেক এমপি বদরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির সদস্য মোহাম্মদ আলী সরকার , বদরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ন আহবায়ক হুমায়ুন কবীর মানিক , বদরগজ্ঞ উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ন সম্পাদক শহীদুল হক মানিক , মধুপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক এনামুল হক, কালুপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির সাধারন সম্পাদক সামসুল হক ও বিষ্ণপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া।
অপরদিকে বিএনপি নেতা নেতা লাভলু মিয়া হত্যার ঘটনায় উপজেলা বিএনপি সাবেক যুগ্ন আহবায়ক ও কালুপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শহীদুল হক মানিক তার ছেলে তমালকে আসামী করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে বদরগজ্ঞ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
সোমবার সকালে এ মামলাটি দায়ের করেন নিহতের ছেলে রায়হান। মামলায় দেড়শ অজ্ঞাত ব্যাক্তির কথাও উল্লেখ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার দুপুরে বদরগজ্ঞ পৌর শহরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় কালু পাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শহীদুল হক মানিকের সাথে বিএনপি নেতা মোহাম্মদ আলীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষকে ছোড়া রাম দা সহ বিভিন্ন অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে একে অপরের বিরুদ্ধে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষ এক পর্যায়ে বদরগজ্ঞ পৌর শহরে ছড়িয়ে পড়ে। এ সময় আতংকে দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। এ ঘটনার খবর পেয়ে ছবি ধারন করতে গেলে বৈশাখি টিভির ক্যামেরাম্যান মুকুল সহ ২ সাংবাদিকের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা।
এদিকে দু গ্রুপের সংঘর্ষে ৭ জন আহত হয়। এরা হলেন পাঠানপাড়া গ্রামের মোন্নাফ (৫০) কাঁচাবাড়ি গ্রামের শফিকুল (৫২) , একই গ্রামের ময়নুল (২৫) মিতু(৪০) , বিরামপুর গ্রামের মোখতার (৫৩) , পান দোকানদার মংলু (৪০) এবং মধুপুর গ্রামের লাভলু (৪৮)। এদিকে আহত ৭ জনকে প্রথমে বদরগজ্ঞ উপজেলা স্্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে সেখানে তাদের অবস্থার অবনতি ঘটলে ৫ জনকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হলে সেখানে চিকিৎসাধিন অবস্থায় বিএনপি নেতা লাভলু মিয়া (৪৮) শনিবার বিকেল সোয়া ৫ টায় মারা যায়।