জুলাই গণহত্যা মামলা

কাদের-কামালসহ সাবেক সরকারের ১০ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ চেয়ে আবেদন

নিজস্ব প্রতিবেদক | প্রকাশ: ১০ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:২৮ পিএম
কাদের-কামালসহ সাবেক সরকারের ১০ শীর্ষ নেতার বিরুদ্ধে রেড নোটিশ চেয়ে আবেদন

জুলাই গণহত্যা মামলায় পলাতক ১০ জন সাবেক মন্ত্রী ও রাজনৈতিক নেতার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক পুলিশ সংস্থা ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারির জন্য আবেদন করেছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন বিভাগ। বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) এই সংক্রান্ত একটি চিঠি পুলিশের মহাপরিদর্শকের (আইজিপি) কাছে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।

এ তালিকায় রয়েছেন—সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস, সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রীর প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা মেজর জেনারেল (অব.) তারিক আহমেদ সিদ্দিক।

প্রসিকিউশন সূত্রে জানা গেছে, রাজধানী ঢাকায় সংঘটিত জুলাই গণহত্যা মামলায় অভিযুক্তরা বর্তমানে বিদেশে অবস্থান করছেন এবং তারা মামলার কার্যক্রমে অংশ নিচ্ছেন না। ফলে আদালতে তাদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আন্তর্জাতিক সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম বলেন, "মামলার বিচারকাজ অগ্রসর করার লক্ষ্যে আমরা আইজিপি বরাবর আবেদন করেছি, যাতে ইন্টারপোলের মাধ্যমে রেড নোটিশ জারি করে অভিযুক্তদের অবস্থান চিহ্নিত ও গ্রেপ্তার করে দেশে ফিরিয়ে আনা যায়।"

এই মামলাটি দেশের বিচার বিভাগীয় ইতিহাসে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এতে রাষ্ট্রের উচ্চপদস্থ ব্যক্তিদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকায় বিচারপ্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরপেক্ষতা নিয়ে দেশ-বিদেশে আলোচনা শুরু হয়েছে।

আইন বিশেষজ্ঞদের মতে, রেড নোটিশ জারি হলে অভিযুক্তদের চলাচল আন্তর্জাতিকভাবে সীমিত হয়ে যাবে এবং যেকোনো দেশে অবস্থানকালীন তাদের আটক করার আইনগত সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ট্রাইব্যুনাল ও সংশ্লিষ্ট তদন্ত কর্মকর্তারা মনে করছেন, এই পদক্ষেপে বিচার কার্যক্রমের গতি বাড়বে এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা সম্ভব হবে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে