চৈত্রের কাঠফাটা রোদ আর তাপপ্রবাহের সাথে বরিশালে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডায়রিয়ার প্রকোপ। বরিশাল জেনারেল হাসপাতালে গত তিনদিন থেকে প্রতিদিন গড়ে ৩০ থেকে ৪০ জন নারী-পুরুষ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হচ্ছেন।
তবে পর্যাপ্ত বেড না থাকায় বাধ্য হয়েই রোগীদের সেবা নিতে হচ্ছে হাসপাতালের মেঝেতে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় পর্যাপ্ত স্যালাইন মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে রোগীদের সামলাতে চরম হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সদের। পাশাপাশি হাসপাতালের বহির্বিভাগেও চিকিৎসা নিচ্ছেন রোগীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের ডায়রিয়া ওয়ার্ডের নার্স অর্চনা রানী জানান, গরম বাড়ার সাথে সাথে হাসপাতালে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। আমরা সবাইকে চিকিৎসা দেওয়ার চেষ্টা করছি। সরেজমিনে দেখা গেছে, হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের মধ্যে বয়স্কদের সংখ্যা বেশি।
হাসপাতালের মেডিসিন ওয়ার্ডের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আশিকুর রহমান বলেন, ডায়রিয়া একটি পানিবাহিত রোগ। তাই সবাইকে পরিস্কার পানি পান ও খাবার খেতে হবে। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আক্রান্তদের মধ্যে অনেকেই খাওয়ার পরে প্রথমে পেটে ব্যথা অনুভব করেন। পাশাপাশি বমি ও পরে ডায়রিয়া শুরু হওয়ার পর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
বরিশাল জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, গত কয়েকদিন থেকে গড়ে প্রতিদিন ৩০ থেকে ৪০ জন ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়া হাসপাতালের বহির্বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেক রোগী। তিনি আরও বলেন, আমাদের পর্যাপ্ত ওষুধ ও স্যালাইন মজুদ রয়েছে। তবে বেড না থাকায় সমস্যা হচ্ছে। সামনে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে হাসপাতালে রোগীর চাপ আরও বাড়তে পারে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বরিশালের আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে বরিশালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩৭ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সামনে তাপমাত্রা আরও বৃদ্ধি পাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।