চাঁদপুর জেলা পরিষদের মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রোববার দুপুরে(১৩ এপ্রিল ২০২৫) জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এই মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিনের সভাপতিত্বে সভাটি সঞ্চালনা করেন জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন।
সভার শুরুতে বিগত অর্থবছরের গৃহীত প্রকল্প বাস্তবায়ন সংক্রান্ত অগ্রগতি পর্যালোচনা এবং নতুন অর্থবছরে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ সংক্রান্ত আলোচনা ও সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এছাড়াও সভায় বিবিধে অন্যান্য বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। সভাপতির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা পরিষদের প্রশাসক মোহাম্মদ মোহসীন উদ্দিন বলেন, নতুন বাংলাদেশে জেলা পরিষদের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।
আরো বক্তব্য রাখেন, চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার উপ-পরিচালক ও চাঁদপুর পৌরসভার প্রশাসক মো. গোলাম জাকারিয়া।
উপস্থিত ছিলেন কমিটির সদস্য স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর চাঁদপুর এর নির্বাহিদ প্রকৌশলী আহসান কবির,জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু মুসা মোহাম্মদ ফয়সাল, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাতেমা মেহের ইয়াসমিন, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরে উপ-পরিচালক নাছিমা আক্তার,চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত,হাইমচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উম্মে সালমা নাজনীন তৃষা, ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুলতানা রাজিয়া, হাজিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ইবনে আল জায়েদ হোসেন,শাহারাস্তি উপজেলা নির্বাহী অফিসার নিগার সুলতানা, কচুয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ হেলাল চৌধুরী, মতলব দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমজাদ হোসেন, মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহমুদা কুলসুম মনি ও চাঁদপুর জেলা পরিষদ সহকারী প্রকৌশলী মো.শাহাদাৎ চৌধুরী প্রমুখ।
চাঁদপুর জেলা পরিষদের মাসিক সভার সদস্য সচিব ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মনোয়ার হোসেন জানান,বিগত অর্থ বছরে যে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্প হয়েছে, সেই উন্নয়ন প্রকল্প দ্রুত সময়ে বাস্তবায়ন এবং সেগুলোর যথাযথ বিল পরিশোধের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়া নতুন অর্থবছরে প্রকল্প গ্রহণের জন্য বিভিন্ন উপজেলার নির্বাহী অফিসারগণ এবং বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে পাওয়া আবেদন অগ্রাধিকার প্রকল্প গুলো সেখান থেকে যাচাই বাছাই করা হয়েছে এবং খুব শীঘ্রই এগুলোর তালিকা করে মন্ত্রণালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হবে। এর বাহিরে বিভিন্ন উপজেলার উন্নয়ন কাজের যেসব আবেদন আছে এই মুহূর্তে বরাদ্দ প্রেরণ করা হচ্ছে না। এসব প্রকল্পের বরাদ্দ প্রাপ্তির জন্য মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করা হয়েছে।