ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলের চুন্টা এসি একাডেমি’র পুকুরের মাটি প্রকাশ্যে হচ্ছে হরিলুট। বিদ্যালয় বন্ধের সুযোগে মাটি নিয়ে স্তুপ আকারে জমা করলেও কর্তৃপক্ষ একেবারেই নীরব। তবে মাটি লুটের ঘটনায় স্থানীয়রা খুবই ক্ষুদ্ধ। কারণ পরবর্তীতে ওই পুকুরের পশ্চিম ও দক্ষিণ পাড় দ্রূত ভেঙ্গে পুকুরে পড়বে। প্রধান শিক্ষক বলছেন বাড়ির আঙ্গিনা লেপপোজ করতে সামান্য মাটি নিচ্ছে ওরা। কর্তৃপক্ষকের অনুমতি ছাড়াই মাটি নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন আইয়ুব আলীরা।
সরজমিন অনুসন্ধান ও স্থানীয় একাধিক সূত্র জানায়, উপজেলার চুন্টা এসি একাডেমি রমজান মাসে বন্ধ। সুযোগ কাজে লাগিয়ে স্কুলের পুকুরের মাটি ইচ্ছেমত হরিলুট করছে আশপাশের বাসিন্দারা। তারা বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানানোর প্রয়োজনও মনে করেননি। পূর্ব পাড়ের আইয়ুব আলী, উত্তর পাড়ের বাবুল মিয়া ও অলি মিয়ার পরিবার স্বজনরা প্রকাশ্যে মাটি কেটে নিজেদের বাড়ি ঘরে নিচ্ছেন। অভিযোগ উঠেছে জনৈক ব্যক্তি কর্তৃক বিদ্যালয়ের মাঠের জায়গা দখল করে ঘর করার। এই ঘটনায় স্থানীয় অনেক লোক ক্ষুদ্ধ হয়েছেন। কারণ ওই পুকুরের দুটি পাড় বিদ্যালয়ে প্রবেশের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার হয়ে আসছে। পুকুরের গভীরতা বৃদ্ধি পেলে একটি ভবন ও দুইটি পাড় ধ্বসে পড়ার ঝুঁকি বাড়বে। মাটি কাটার কথা স্বীকার করে আইয়ুব আলী মুঠোফোনে কর্তৃপক্ষকে না জানিয়ে মাটি কাটার কথা স্বীকার করে বলেন, বাড়ির ভাঙগা গর্ত ভরাটের জন্য কিছু মাটি নিয়েছি। এখন আপনাদের অনুমতি না পেলে আর মাটি কাটব না। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালাহ উদ্দিন মো. আরিফ বলেন, বাড়ির উঠান লেপপোজের কথা বলেছিল ওরা। অধিক পরিমাণ মাটি কথা আমার জানা নেই। আমি এখনই খোঁজ খবর নিয়ে মাটি কাটতে নিষেধ করব।