কয়রা উপজেলার দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের সদস্য ও মাটিয়াভাঙ্গা গ্রামের মৃত নওয়াব আলী গাজীর পুত্র দিদারুল আলমের নিকট হতে জোরপূর্বক ইউনিয়ন পরিষদের সাদা প্যাডে স্বাক্ষর করে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল বুধবার (১৬ এপ্রিল) বেলা ১১ টায় কয়রা উপজেলা প্রেস ক্লাবে লিখিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ অভিযোগ করেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য তিনি বলেন, গত ২০২১ সালে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আমি ৭নং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের প্রতিদন্দিতা প্রার্থীদের মধ্যে ইউপি সদস্য হিসাবে নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে ৭নং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের ইউপি সদস্য/সদস্যাদের মধ্যে প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচনে আমি প্যানেল চেয়ারম্যান-২ পদে জয় লাভ করি। আমি দায়িত্ব গ্রহনের পর হইতে অদ্যবধি পর্যন্ত অতি শুনামের সহিত ইউনিয়ন পরিষদের কার্য্য পরিচালনা করিয়া আসিতেছি। এমতাবস্থায় আমার জনপ্রিয়তা দেখে একদল দুষ্কৃতিকারী লোকজন আমার জান ও মালের ক্ষতিসাধন করিবার জন্য পায়তারা করিতে থাকে। তারই রেশ ধরে গত ১০ এপ্রিল খুলনা শিববাড়ী মোড়, আবাসিক আরাম হোটেলে অবস্থান করা অবস্থায় ৩ জন অজ্ঞাত নামা ব্যাক্তি আমার সহিত দেখা করিতে আসিয়া পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অতর্কিত ভাবে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট করিয়া জোর পূর্বক ৭নং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের অলিখিত একটি প্যাডে স্বাক্ষর করে নিয়ে তারা দ্রুত চলে যায়। এমতাবস্থায় আমি বাড়িতে আসিয়া জানিতে পারিয়াছি যে, ৭নং দক্ষিণ বেদকাশী ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান-২ পদের পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছি। আমি স্বেচ্ছায় স্বজ্ঞানে ও নিজের ইচ্ছায় কোন পদত্যাগ পত্র জমা দেয়নি। কে বা কাহারা আমাকে জোর পূর্বক আমার ইউনিয়ন পরিষদের অলিখিত প্যাডে স্বাক্ষর নিয়ে আমাকে ক্ষতিগ্রস্ত করিবার জন্য পদত্যাগপত্র লিখি জমা দিয়েছে। এ ধরনের কর্মকান্ডে আমি ও আমার পরিবারের নিরাপত্তা শঙ্কায় আছি। সংবাদ সম্মেলনে মাধ্যমে এ ব্যাপারে আমি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করছি।