টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে নিয়েছেন অবসর। এরপর আর ওয়ানডে দলেও ফেরা হয়নি। ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটে আর দেখাই যায়নি সাকিবকে। সবাই যখন সাকিবের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারের ইতি দেখে ফেলেছেন, তখন সাকিব নিজেই জানালেন বাংলাদেশের হয়ে আরও এক বা দুই বছর খেলতে চান। তবে এজন্য সরকারের উপরের মহল থেকে সহায়তা ও ইতিবাচক সাড়া কামনা করেছেন তিনি। সাথে জানিয়েছেন, নিশ্চিত করতে হবে নিরাপত্তাও। এক সাক্ষাৎকারে সাকিব বলেন, ‘আমি তখন অনেক দিন ধরেই দেশের বাইরে। প্রথমে ইউএসএতে এমএলসি খেললাম, এরপর কানাডায়। ছবিটা কানাডায় তোলা। আমি পোস্ট করিনি, যদিও দায় নিচ্ছি। পূর্বপরিকল্পিত একটা পারিবারিক ভ্রমণ ছিল। পাবলিক ফিগার হিসেবে আমার আরও সচেতন থাকা উচিৎ ছিল। আমি এটা মানি। তবে আমার মনোযোগ সবসময় ক্রিকেটেই ছিল। এমপি হওয়ার আগে কিংবা পরেও। আমাকে কখনও রাজনীতিতে মাথা ঘামাতে বলা হয়নি। সবসময় বলা হয়েছে- ক্রিকেট খেলো।’ টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেওয়ার আগে সাকিব বুঝতে পারছিলেন, এত মানসিক চাপ নিয়ে খেলা চালিয়ে যাওয়া কঠিন হচ্ছে। তবে দেশে বিদায়ী টেস্ট খেলতে কিংবা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির অংশ হতে আলোচনা থামাননি। এমনকি কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টার সাথেও। সাকিব বলেন, ‘বুঝতে পারলাম শেষ- যখন দেখলাম এত চাপ নিয়ে আর খেলতে পারছি না। এমন নয় আমি দেশের হয়ে খেলতে চাই না। আমি এখনও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে চাই। এই আকাঙ্ক্ষা সবসময় থাকবে। আমি এজন্য সবার সাথে জগাজগ করার চেষ্টা করেছি, বিসিবি সভাপতি থেকে শুরু করে সরকারের উচ্চপদস্থ কর্তারা। হ্যাঁ আমি এমপি ছিলাম, এখন নেই। তবে আমি রাজনৈতিক দলে কোনো পদের অধিকারী তো নই। ১৮-২০ বছর যা করেছি এখন তা বন্ধ হয়ে যাওয়া কি অসম্মানজনক নয়? এখনও আমি বাংলাদেশের হয়ে খেলে নিজের কেরিয়ারের ইতি টানতে চাই। সুযোগ এলে ভাবতে চাই একটি সিরিজ খেলব নাকি দুটি সিরিজ, নাকি আরও এক বছর। আমার সবচেয়ে বড় ইচ্ছা দেশের হয়ে খেলা এবং নিজেকে এজন্য উজাড় করে দিতে প্রস্তুত। আমি এটা পুরনের চেষ্টা করছি... ক্রীড়া উপদেষ্টা, প্রধান উপদেষ্টা, বিসিবি সভাপতির সাথে কথা বলছি।’ শেষপর্যন্ত দেশে এসে খেলা বা চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলা না হয়নি বলে সাকিবের কারও প্রতি অভিযোগ নেই। তার ভাষায়, ‘আমার কাউকে নিয়ে অভিযোগ নেই, কোনো ক্ষোভও নেই। সবার সীমাবদ্ধতা আছে। আমাকে ১৮ বছর দিয়ে বিচার করবেন নাকি গত ৬ মাস দিয়ে এটা আপনার বিষয়। আমার মনে হয় বাংলাদেশের হয়ে খেলার অধিকার আমি রাখি। বেশিরভাগ মানুষই চায় আরও কিছু দিন খেলি এবং দেশের জার্সিতে অবসর নিই। আমি বিশ্বাস করি আরও এক দুই বছর আমি খেলতে পারব। সদিচ্ছা থাকলে বিষয়টির সমাধান করা যায়। এবং এটা আসতে হবে শীর্ষ পর্যায় থেকে।’ ‘আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত হলে আমি আসব। আমার নামে যে মামলা হয়েছে, বাদী আমার নাম আছে তা জানেই না।’