ডুমুরিয়ার চুকনগরে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে এক কৃষককের মাঠে থাকা কাটা ধান তুলে জোর পূর্বক তুলে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কৃষক আজিজুর খাঁ কর্তৃক পুলিশের বিশেষ জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বর ফোন করলে তড়িৎ গতিতে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তা পন্ড হয়ে যায়। আটলিয়া ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি আঃ মালেকের বিরুদ্ধে এই ধান তুলে নিতে নেতৃত্ব দেয়ার সহযোগিতার অভিযোগ রয়েছে।বুধবার সকাল ৮ টার দিকে উপজেলার আটলিয়া ইউনিয়নের মালতিয়া মৌজায় এ ঘটনা ঘটে। এসময় ধান গুলো সাময়িক ভাবে স্থানীয় ইউপি সদস্য মাওলানা মোঃ মতিয়ার রহমানের জিম্বায় রাখা হয়েছে। ভুক্তভোগী এবং স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে,ডুমুরিয়া উপজেলার মালতিয়া মৌজাধীন বিআরএস ৭১৮,৭২২ ও ৭২৩ খতিয়ানে ৪.৫৯,৭৫ একর জমি বাদী আবু বক্কার সিদ্দিকী গং পৌত্রিক ও কবলা দলিল মুলে রেকর্ডীয় মালিক। হালসন খাজনা পরিশোধসহ শান্তিপূর্ণ ভাবে ভোগদখলকার রয়েছেন তারা। শত বৎসর যাবত দখলে থাকা জমি প্রতিপক্ষ সাকের আলি খাঁ গং জবর দখল করতে পায়তারা চালিয়েছে। প্রতিপক্ষ সাকের খাঁ'র ছেলে খায়রুল ইসলাম ও স্থানীয় কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল মালের নেতৃত্ব ২০/২৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ লাঠিয়াল বাহিনী অতর্কিত ভাবে ক্ষেতের মধ্যে অনাধিকার প্রবেশ করে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমিতে কেটে রাখা ধান তুলে নেয়ার চেস্টা করে। এসময় ভুক্তভোগীর পুলিশের জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে কল করলে পুলিশের হস্তক্ষেপ তা পন্ড হয়ে যায়। জানা গেছে সাকের আলি খাঁ গং উক্ত জমির মালিকানা দাবী করে ডুমুরিয়া সহকারী জজ আদালতে ৩৬৯/২০১০ নম্বর দেওয়ানী মামলায় রায়ের বিপক্ষে জেলা জজ আদালতে ১৮/২৫ নম্বর একটি আপিল মামলা রুজু করেন। ভুক্তভোগী গং বাদী হাফেজ আবু বক্কার সিদ্দিকী। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে নিষেধাজ্ঞা দেন। কিন্তু আদেশ অমান্য করে জোর পূর্বক জমি দখল নিতে ভুক্তভোগীর কেটে রাখা ধান তুলে নেয়ার চেস্টা করে প্রতিপক্ষরা। ঘটনা প্রসংগে কৃষকদল নেতা আব্দুল মালেক বলেন, পুলিশ যাওয়া মাত্র ভুল বুঝতে পেরে লোকজন নিয়ে ঘটনা স্থল থেকে ফিরে আসি।
খায়রুল ইসলাম বলেন, আমরা রায় পেয়েছি।সে জন্য ধান তুলে নেয়ার চেষ্টা করেছি। এ বিয়ষে মাগুরাঘোনা ফাঁড়ির সহকারী ইনচার্জ এএসআই রবিউল ইসলাম জানান, তর্কিত জমির ধান ধানগুলো স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমানের হেফাজতে রাখা হয়েছে। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মামলার প্রস্তুতি চলছিল বলে জানা গেছে।