শেরপুরের প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

এফএনএস (সৌরভ অধিকারী শুভ; শেরপুর, বগুড়া) : | প্রকাশ: ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৫৮ পিএম
শেরপুরের প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের অভিযোগ

বগুড়ার শেরপুরে সদ্য বিদায়ী উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. রেহেনার খাতুনের বিরুদ্ধে গ্যারেজের সেড নির্মাণের ২ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। তিনি শেরপুর উপজেলা থেকে ধুনট উপজেলায় বদলির আগে এই টাকা আত্মসাত করেন। অডিট অফিসারদের মিথ্যা তথ্য দিয়ে ঘটনাটি ধামাচাপা দেয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

খোজ নিয়ে জানা যায়, ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে শেরপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরে গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। এই বরাদ্দ আসার আগেই শেরপুর উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের উন্নয়নের জন্য তৎকালীন কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান ব্যাক্তি উদ্যোগে গ্যারেজটি নির্মাণ করেন। ডা. মো. রায়হান এই উপজেলা থেকে বদলি হওয়ার পর ডা. মোছা. রেহেনা খাতুন ভারপ্রাপ্ত প্রানিসম্পদ কর্মকর্তার দায়িত্ব পান। পরে তিনি নিয়মিত হন। এরই এক পর্যায়ে গ্যারেজ নির্মাণের জন্য  এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বারদ্দ আসে। বরাদ্দকৃত সেই টাকা অফিস সহকারী মতিউর রহমানের নামে চেক দিয়ে সোনালী ব্যাংক শেরপুর শাখা থেকে উত্তোলন করিয়ে সেই টাকা আত্মসাত করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এমনকি নির্মানকৃত গ্যারেজ দেখিয়ে অডিট অফিসারদের বোকা বানিয়েছেন তিনি। সচেতন মহল মনে করছেন, অডিট অফিসারগণ যদি বিষয়টি খতিয়ে দেখতেন তাহলে তখনি ঘটনাটি সকলের সামনে আসতো।

এ ব্যাপারে উপজেলা প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের অফিস সহকারী মো. মতিউর রহমান বলেন, কর্মকর্তারাতো আমাকে চেকই দেয়। কোনটা কিসের চেক সেটা আমি বলতে পারবোনা। আপনার যা জানার রেহেনা ম্যাডামের কাছ থেকে জেনে নিন। তাছাড়া কয়েকমাস আগের কথা আমার ভাল করে মনেও নেই।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলার তৎকালীন প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো. রায়হান বলেন, আমি শেরপুরে প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা থাকা অবস্থায় প্রানিসম্পদ কে ভালবাসে এমন কিছু মানুষের সহযোগিতায় একটি গ্যারেজ, মুক্তমঞ্চ নির্মাণ, সুপ্রশস্থ রাস্তা তৈরী, সেবাগ্রহীতার বসার জায়গা ও সৌন্দর্যপূর্ন কিছু গাছ লাগিয়েছিলাম। আমি শেরপুর থেকে বদলি হওয়ার পর গ্যারেজ নির্মাণের জন্য এলডিডিপি প্রকল্পের মাধ্যমে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আসে। সেই টাকা কে তুলেছে, কিভাবে খরচ করেছে তা আমি জানিনা।

এ ব্যাপারে শেরপুর উপজেলা থেকে সদ্য বিদায়ী প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোছা. রেহেনা খাতুন বলেন, গ্যারেজের জন্য বরাদ্দকৃত ২ লাখ টাকার ভ্যাট ট্যাক্স বাদ দিয়ে সব টাকা উত্তোলন করা হয়েছে। টাকাগুলো কি কাজে খরচ করেছেন জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান এবং বলেন আমার কোন অন্যায় থাকলে অঢিট ধর ফেলতো।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে