চার মাস চিকিৎসা শেষে লন্ডন থেকে দেশে ফিরে এসেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুরে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’-তে পৌঁছে তিনি দেশবাসীর প্রতি গভীর কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছেন।
বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানিয়েছেন, “চিকিৎসা পরবর্তী অবস্থায় তিনি অনেকটাই সুস্থ। শারীরিক কষ্ট থাকা সত্ত্বেও জনগণের ভালোবাসা এবং সান্নিধ্য তাকে মানসিকভাবে অনেক শক্তি দিয়েছে। দেশে ফিরে তিনি কৃতজ্ঞচিত্তে দেশবাসীর দোয়া ও সমর্থনের কথা স্মরণ করেছেন।”
ডা. জাহিদ আরও জানান, “দীর্ঘ যাত্রার ধকল ও শারীরিক দুর্বলতা সত্ত্বেও ম্যাডাম খালেদা জিয়া জনগণের ভালোবাসা গ্রহণ করেছেন হাসিমুখে। তিনি সবসময় জনগণের কাছাকাছি থাকতে পছন্দ করেন।”
মঙ্গলবার সকাল ১০টা ৪০ মিনিটে কাতারের আমিরের সৌজন্যে প্রেরিত একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন খালেদা জিয়া। তাকে স্বাগত জানাতে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা।
বিমানবন্দর থেকে গুলশানের বাসভবনের পথে যাত্রা করার সময় সড়কের দুই পাশে বিপুলসংখ্যক নেতাকর্মী তাকে অভ্যর্থনা জানান। দুপুর ১টা ২৫ মিনিটে তিনি ফিরোজায় পৌঁছান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেশে ফিরেছেন তার দুই পুত্রবধূ—জোবাইদা রহমান ও সৈয়দা শামিলা রহমান। বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কিছুদিন পর জোবাইদা রহমান পুনরায় লন্ডনে ফিরলেও অদূর ভবিষ্যতে তারেক রহমানেরও দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। এ প্রসঙ্গে ডা. জাহিদ হোসেন বলেন, “সেদিন আর বেশি দূরে নয়, খুব শিগগিরই তারেক রহমানও দেশে ফিরবেন।”
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৮ জানুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান খালেদা জিয়া। তার শারীরিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি তাকে একটি বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন নেওয়ার ব্যবস্থা করেন। একইভাবে, এই বিমানেই তিনি দেশে ফিরে এসেছেন।
বিএনপি নেতাদের ভাষ্য অনুযায়ী, বেগম জিয়ার এই প্রত্যাবর্তন দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করতে পারে। তার সুস্থতা এবং উপস্থিতি দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা তৈরি করেছে।