দক্ষিণ ভারতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাই পল্লবী আবারও প্রমাণ করলেন, অভিনয়ের জগতে তিনি কেবল জনপ্রিয়তার পেছনে ছুটেন না, বরং তাঁর কাছে চরিত্রের গভীরতা ও নারীর সম্মানই মুখ্য। থালাপাথি বিজয় অভিনীত সুপারহিট সিনেমা ‘লিও’-এর প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে তিনি কেবল ভক্তদের নয়, পুরো চলচ্চিত্র দুনিয়াকেই চমকে দিয়েছিলেন। আর সেই সিদ্ধান্তের পেছনে ছিল তার চিন্তাশীলতা, আত্মসম্মানবোধ ও শিল্পীসুলভ বাছাই।
২০২৩ সালে একটি ভারতীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদনে জানা যায়, ‘গার্গি’ ও ‘প্রেমাম’ খ্যাত সাই পল্লবীকে ‘লিও’ সিনেমার ‘সাথিয়া পার্থিবান’ চরিত্রের জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। এ চরিত্রটি ছিল সিনেমার মূল চরিত্র পার্থিবানের স্ত্রীর ভূমিকায়। যদিও সিনেমাটির পরিচালক লোকেশ কানাগারাজ ও তারকা থালাপাথি বিজয়ের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ যেকোনো অভিনেত্রীর জন্য স্বপ্নস্বরূপ-সাই পল্লবী সেই লোভনীয় প্রস্তাব বিনয়ের সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেন।
কারণটা একেবারে স্পষ্ট: চরিত্রের গভীরতা এবং নারীর প্রতি সম্মান।
সাই পল্লবী জানান,
“আমি এমন সিনেমাতেই কাজ করতে আগ্রহী, যেখানে নারী চরিত্রকে যথাযথ গুরুত্ব দেওয়া হয়। শুধুমাত্র উপস্থিতি নয়, চরিত্রের অভ্যন্তরীণ শক্তি ও অবস্থান আমাকে আকর্ষণ করে। ‘লিও’-তে সেই ভারসাম্য আমি পাইনি।”
পরবর্তীতে এই চরিত্রে অভিনয় করেন তৃষা কৃষ্ণান। এবং সিনেমাটি বিশ্বব্যাপী প্রায় ৬২৩ কোটি রুপি আয় করে রীতিমতো বক্স অফিস কাঁপিয়ে তোলে। এটি থালাপাথি বিজয়ের ক্যারিয়ারের অন্যতম সফল সিনেমা হিসেবে পরিণত হয়।
এদিকে বিজয় এখন ব্যস্ত রয়েছেন তার শেষ সিনেমা ‘জননায়ক’ নিয়ে, যা ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই ছবি দিয়েই তিনি চলচ্চিত্র থেকে বিদায় নিয়ে পূর্ণকালীন রাজনীতিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন।
অন্যদিকে সাই পল্লবী তার নিজস্ব ভাবনা ও বিশ্বাস ধরে রেখেই এগিয়ে চলেছেন অভিনয়ের পথ ধরে। সম্প্রতি তিনি নাগা চৈতন্যের সঙ্গে তেলেগু সিনেমা ‘থান্ডেল’-এ অভিনয় করে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এছাড়া বর্তমানে তিনি রণবীর কাপুরের বিপরীতে নিতেশ তিওয়ারি পরিচালিত বলিউড মেগা প্রজেক্ট ‘রামায়ণ’-এ অভিনয় করছেন। ইতোমধ্যে এ সিনেমার শুটিং শুরু হয়েছে এবং এটি নিয়েও দর্শকদের প্রত্যাশা তুঙ্গে।
সাই পল্লবীর এই সাহসী সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন অভিনয়ের প্রতি তার দায়বদ্ধতার প্রতিফলন, অন্যদিকে চলচ্চিত্রে নারীর অবস্থান ও প্রতিনিধিত্ব নিয়েও এক জরুরি বার্তা বহন করে।