রাজশাহীর দুর্গাপুরে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে হাসিবুর রহমান (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় অন্তত ৯ জন আহত হয়েছেন। বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার মাড়িয়া ইউনিয়নের হোজা অনন্তকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে, ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে জড়িত হান্নান গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ রেজাউল গ্রুপের্ মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি সার ও কীটনাশকের দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জমির ভাগ-বাটোয়ারা নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি হয়। পরে একপর্যায়ে আধিপত্য বিস্তার কে কেন্দ্র করে মারামারিতে রূপ নেয় এবং দ্রুত তা সংঘর্ষে রূপ নেয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হন।
আহতদের মধ্যে ছয়জনকে গুরুতর অবস্থায় দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। পরে শাররীক অবস্থার অবনতি হলে তাদের রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় হাসিবুর রহমান মারা যান।
সংঘর্ষে গুরুতর আহতদের মধ্যে রয়েছেন: ওয়াজেদ আলী (৫৫), সুনু আলী (৪০), শহিদুল ইসলাম (৫২), আব্দুস সালাম (৫৭), আলাউদ্দিন (৪৫), নাজেরা বেগম (৫৫), নাজমুল হক (৫৫), মোশারফ হোসেন (২৩) ও শাহিন (২৩)। তারা সকলেই হোজা অনন্তকান্দী গ্রামের বাসিন্দা।
সংঘর্ষের পর এলাকা জুড়ে চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করেছে।
ঘটনার পরদিন বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের পরিবারের সঙ্গে জড়িত হান্নান গ্রুপ ও প্রতিপক্ষ রেজাউল গ্রুপের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ হয়। এ সময় একটি সার ও কীটনাশকের দোকানে অগ্নিসংযোগ করা হয়।
নিহত হাসিবুরের চাচাতো ভাই মো. আব্দুল্লাহ বলেন, “আমার ভাইকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। তারা দীর্ঘদিন ধরেই জমিটি দখলের চেষ্টা করছিল। এমনকি ২০০৫ সালে আমার আরেক ভাই ইসহাককেও কুপিয়ে হত্যা করেছিল। আমরা এখন নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। প্রশাসনের কাছে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করছি।”
দুর্গাপুর থানার ওসি দুরুল হুদা জানান, “ঘটনার পরপরই পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।” এ ঘটনায় এলাকাজুড়ে এখন চরম উত্তেজনা আতঙ্ক আর শোকের ছায়া নেমে এসেছে।