চট্টগ্রামের কালুরঘাটে বহুল প্রত্যাশিত কর্ণফুলী নদীর ওপর রেলসহ সড়ক সেতু নির্মাণকাজের বুধবার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এতে দীর্ঘদিনের স্বপ্ন বাস্তবায়নে দ্বিতীয় ধাপ অর্জনে খুশি ওই অঞ্চলের লাখো মানুষ। উক্ত প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করায় কালুরঘাটে আনন্দ মিছিল করেছেন বোয়ালখালীর সর্বস্তরের জনসাধারণ।
বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টায় বিদ্যমান শতবর্ষী কালুরঘাট সেতুর নগর পশ্চিম প্রান্ত থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে বোয়ালখালীর পূর্ব প্রান্তে এসে শেষ হয়। বোয়ালখালী-পটিয়াসহ দক্ষিণ চট্টগ্রামের কোটি মানুষের স্বপ্নের সেতু নির্মাণের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের আনন্দ মিছিল শেষে বোয়ালখালী-কালুরঘাট সেতু বাস্তবায়ন পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ও সাংবাদিক মুস্তফা নঈমের সভাপতিত্বে এবং সাংবাদিক মোহাম্মদ আলীর পরিচালনায় সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তব্য দেন কলামিস্ট সৈয়দ জাকির হোসাইন, সাংবাদিক মনজুর মোর্শেদ, ইঞ্জিনিয়ার ইকবাল, শহিদুল্লাহ চৌধুরী, এস এম সেলিম, মোহাম্মদ রফিক, হাজী আবু আকতার, আ ন ম ইলিয়াস, নুরুল আবছার, ফায়াজ মেহের, ইব্রাহিম তালুকদার, গোলাম হোসেন নান্নু, ইব্রাহিম চৌধুরী মানিক ও সাংবাদিক বাবর মুনাফ প্রমুখ।
পরে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়। মোনাজাত পরিচালনা করেন মোহাম্মদ সেলিম। এ সময় বক্তারা বলেন, সুদীর্ঘ সময় থেকে একটি সড়ক সেতুর অভাবে বহু গুরুতর অসুস্থ ব্যক্তি চিকিৎসার জন্য শহরে যাওয়ার পথে কালুরঘাট সেতুর পূর্ব প্রান্তেই মৃত্যুবরণ করার মতো দুঃখজনক ঘটনার স্বাক্ষী এই বোয়ালখালীর মানুষ। সেতু আন্দোলনের শুরু থেকে যারা মাঠে ছিলেন যারা নৈতিক ও মানসিকসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছেন তাদের অনেকেই আজ এই আনন্দের দিনে আমাদের মাঝে নেই। আমরা তাদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাই। বহু চড়াই-উতরাই শেষে স্বপ্নের কালুরঘাট সেতু আজ বাস্তবতা।
বক্তারা আরো বলেন, সেতুর এই দৃশ্যমান কাজ দ্রুত নির্মাণের দিকে এগিয়ে যাবে। সেতুর মাধ্যমে বোয়ালখালী-পটিয়া এলাকায় নতুন যুগের সূচনা হবে। শিল্প উন্নয়ন ও অগ্রগতিতে বিশাল ভাবে এগিয়ে যাবে। পর্যটন শিল্পেরও ব্যাপক প্রসার ঘটবে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে সেতুর কাজ শুরু করবার জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের প্রতি বিনীতভাবে আহ্বান জানান বক্তারা।