অভয়নগরে মিয়াজাকি আম চাষে সাফল্যের হাতছানি

এফএনএস (মল্লিক খলিলুর রহমান; অভয়নগর, যশোর) : | প্রকাশ: ২২ মে, ২০২৫, ০৫:৩২ পিএম
অভয়নগরে মিয়াজাকি আম চাষে সাফল্যের হাতছানি

মিয়াজাকি আম (সূর্যের ডিম) নামেও পরিচিত। যশোরের অভয়নগর উপজেলার একটি বাগানে থোকায় থোকায় ঝুলছে বিশ্বের সবচেয়ে দামি মিয়াজাকি(সুর্যের ডিম) আম। এ আমটি জাপানের মিয়াজাকি প্রদেশে উৎপাদিত হয়। জাপানি এই আমকে বাংলাদেশে বলা হয় ‘সূর্যডিম’ আম। সেই আমবাগানের দুই পাশে রয়েছে মাছের ঘের।  

আম বাগানটি করেছেন, উপজেলার চলিশিয়া ইউনিয়নের ডুমুরতলা গ্রামে সরখোলা-মশিয়াহাটী সড়কের পাশে ‘দারুল আসাদ খামারবাড়ির মালিক মো. আসাদুর রহমান। খামারবাড়িতেই এমনই এক আমবাগান করে সফলতা পেয়েছেন আসাদুর রহমান উপজেলার গুয়াখোলা গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে।   

জানা গেছে, জাপানের বিখ্যাত মিয়াজাকি (সূর্যডিম) আম অন্যান্য আমের চেয়ে ১৫ শতাংশ স্বাদ-গন্ধ ও মিষ্টতা বেশি। রঙটাও ব্যতিক্রম। পরিপক্ক অবস্থায় এ আমের রং উজ্জল লালচে-বেগুনি হয়। আকৃতিতে কিছুটা ডিম্বাকৃত আম অত্যন্ত মিস্টি, সরস ও স্বাদে ভরপুর হয়ে থাকে। এসব বিশেষত্বের কারণে বিরল প্রজাতির মিয়াজাকি বিশ্বের সবচেয়ে দামি আম। একটি আমের ওজন এক কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। জায়গার নামানুসারে এর নাম রাখা হয় মিয়াজাকি। পৃথিবীতে বিখ্যাত হওয়ার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ এই আমের মূল্য। কারণ দামের বিচারে পৃথিবীর সবচেয়ে মূল্যবান আম এটি। 

সরেজমিনে দারুল আসাদ খামারবাড়িতে গিয়ে দেখা গেছে, দুইটি মাছের ঘেরের মাঝে (আইলে) সারিবদ্ধভাবে মিয়াজাকি আমগাছ লাগানো রয়েছে। গাছগুলো তেমন বড় না হলেও অসংখ্য গাছে থোকায় থোকায় রঙিন আম ঝুলছে।

খামারের মালিক আসাদুর রহমান বলেন, ‘পত্রপত্রিকার খবর দেখে বিশ্বের সবচেয়ে দামি আমগাছের চারা বাণিজ্যিকভাবে রোপণের সিদ্ধান্ত নেই। ২০২৪ সালের জুলাই মাসে ভারত থেকে ৬৫টি চারাগাছ আমদানি করা হয়। একটি চারাগাছ আনতে খরচ হয় চার হাজার ২০০ টাকা। বর্তমানে ২৩টি গাছে আম ধরেছে। বাকি গাছগুলোতেও আম ধরতে শুরু করেছে। চলতি মৌসুমে এক হাজার টাকা কেজি দরে অন্তত পাঁচ লাখ টাকার আম বিক্রির আশা রয়েছে।’ 

এ ব্যাপারে অভয়নগর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, ‘যশোর জেলার মধ্যে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে মিয়াজাকি আমের চাষ শুরু করেছেন খামারি আসাদুর রহমান। আমি নিজে তাঁর খামারে গিয়েছি, আমবাগান পরিদর্শন করেছি। ভালো ফলন হয়েছে। আশাকরি তিনি সফল হবেন। এ ধরণের উদ্যোক্তাদের জন্য কারিগরি পরামর্শসহ সব ধরণের সহযোগিতা করতে প্রস্তুত রয়েছে কৃষি অফিস।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে