চট্টগ্রামবাসী যেকোনো মূল্যে বন্দর রক্ষায় প্রস্তুত। বন্দর নিয়ে কোনো আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত জনগণ কখনো মেনে নেবে না। সোমবার সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সামনে বন্দর অভিমুখে পদযাত্রা শুরুর আগে বক্তব্যে এসব কথা বলেন চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ। চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনার দায়িত্ব কোনো বিদেশি কোম্পানিকে না দেওয়া এবং বন্দরে আওয়ামী লীগ সিন্ডিকেট ভাঙার দাবিতে সকালে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব চত্বর থেকে চট্টগ্রাম বন্দর ভবন পর্যন্ত হেঁটে জনমত গঠন করে পদযাত্রা কর্মসূচি পালন করা হয়।
ওই পদযাত্রাটি চট্টগ্রাম প্রেসক্লাব, জামালখান, কাজির দেউড়ি, সার্কিট হাউস, লালখানবাজার, টাইগারপাস, চৌমুহনী, আগ্রাবাদ, বারিকবিল্ডিং, ফকিরহাট, কাস্টমস হয়ে চট্টগ্রাম বন্দরে গিয়ে শেষ হয়। তবে পদযাত্রা শেষে বন্দর ভবনে ঢ়ুকার চেষ্টা করলে সুরক্ষা কমিটির নেতাদের বাধা দেয় আনসার বাহিনী।
বিপ্লব পার্থ বলেন, নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস চট্টগ্রামের গর্ব। এই ক্রান্তিকালে দেশের হাল ধরেছেন, চট্টগ্রামবাসী অত্যন্ত আনন্দিত। আপনি একজন আন্তর্জাতিক ব্যক্তিত্ব। ফলে এখানে বিদেশি বিনিয়োগ আসবে সেটা খুবই প্রশংসার বিষয়। কিন্তু চট্টগ্রাম বন্দরকে বিদেশি কোম্পানিকে দিয়ে দিবেন, সেটা হবে না। চট্টগ্রামবাসী বীরের জাতি, বন্দর নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেওয়া হবে না। এক রক্তবিন্দু থাকতে বিদেশি কোম্পানিকে বন্দর দিতে দিবে না চট্টগ্রামবাসী।
চট্টগ্রাম সমিতি-ঢাকার আহ্বায়ক এম এ হাশেম রাজু বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর হচ্ছে দেশের অর্থনীতির চাবিকাঠি। এই বন্দর বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বন্দর বিদেশিদের হাতে এক বিন্দু রক্ত থাকতে আমরা তুলে দিতে পারি না।
এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, বেসরকারি কারা পরিদর্শক উজ্জ্বল বরণ বিশ্বাস, মহানগর যুবদল নেতা ডা. রাজীব বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার কমিশনের নির্বাহী সদস্য হাজী আবদুল গনি, চান্দগাঁও স্বেচ্ছাসেবক দলনেতা বাবলু দেবনাথ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদল নেতা মোহাম্মদ মহসীন, বন্দর শ্রমিক নেতা নুর হোসেন, মহানগর ছাত্রদল নেতা রাজু দাশ, সুকান্ত মজুমদার, কোতোয়ালি থানা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাজু দাশ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদলের উপ-দপ্তর সম্পাদক নাফিজ শাহ, যুবদল নেতা মো. মামুন, খলিলুর রহমান ও অমল দাশ প্রমুখ।