সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে মিল রেখে নোয়াখালীর সেনবাগে দুইটি গরু কোরবানী করে কোরবানীকৃত গোস্ব্তগুলোর গোস্ত শতাধিক অসহায় দুঃস্থ লোকজনের মাঝে বিতরণ করেছে স্বেচ্চাসেবী সংগঠন আলো আশা ফাউন্ডেশন।
শুক্রবার সকালে আলো-আশা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান যুক্তরাজ্য (লন্ডন) প্রবাসী আবদুল হক আলো রাজের ব্যাক্তিগত উদ্যোগে শায়েস্তানগর গ্রামস্থ নিজ বাড়িতে গরু গুলো কোরবানী করে এবছর যারা কোরবানী দিতে পারেনী এমন শতাধিক ব্যাক্তিদের তালিকা করে স্বেচ্চাসেবীদের মাধ্যমে গরুর গোস্তগুলো বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়। এছাড়া আগামী রবিবার আরো দুইটি গরু কোরবানী করে আরো শতাধিক অসহায় ও দু্স্থঃ লোকজনের মাঝে বিতরণ করা হবে।
সংগঠনের কোষাধক্ষ্য মোঃ ইসমাইল হোসেন জানান, উপজেলার কাবিলপুর ইউপির ৪টি গ্রাম শায়েস্তানগর, ফতেহপুর, মহিদীপুর ও ইয়ারপুর গ্রামে যারা কোরবানী দিতে পানেী এমন দুই শতাধিক অসহায় দুঃস্থ ব্যাক্তিদের তালিকা করে আলো আশা ফাউন্ডেশন। এরপর ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গরুগুলো কোরবানী করে এর গোস্তগুলো বাড়ি বাড়ি পৌছে দেওয়া হয়। আগামীতে যেন আরো অধিক সংখ্যক লোকজনকে এর আওয়তায় আনা যায় সে ব্যাপারে সকলের সহযোগীতা কামনা করেন।
জানাগেছে, বড় পীর আবু মুহম্মদ মহিউদ্দীন সৈয়দ আবদুল কাদির জিলানী (র) এর মতাদর্শে তৈরি হয় কাদেরিয়া তরিকা। কাদেরিয়া তরিকার অনুসারী লক্ষ্ণীনারায়ণপুর, হরিণারায়নপুর, বসন্তবাগ ও ফাজিলপুর গ্রামের বাসিন্দারা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে প্রতি বছর একদিন আগেই ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহা পালন করে থাকে।