সরকারী নিয়ম-নীতি ও শর্ত লঙ্ঘন করে পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলায় অবৈধভাবে এলপি গ্যাস রিফিল করে বিভিন্ন কোম্পানীর স্টিকার লাগিয়ে বিক্রি করা হচ্ছে। উপজেলার মাটিভাঙ্গা কলেজ মোড়ে পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অন্যের জায়গা দখল করে রফিক নামের এক আওয়ামীলীগ নেতা দীর্ঘদিন ধরে এ কাজ করছেন। খবর পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা ও কয়েক সাংবাদিক সেখানে গেলে সটকে পড়েন ওই অবৈধ গ্যাস রিফিলকারী মালিক ও শ্রমিকরা।
বিষয়টি পিরোজপুর জেলা প্রশাসনকে জানালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন পিরোজপুরের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন, সেনাবাহিনীর মেজর ইশরাক এর একটি টহল টিম, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস। উপস্থিত প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অবৈধ কারখানা ঘুরে বিভিন্ন ব্রান্ডের স্টিকার, ক্যাপসহ খালি গ্যাস সিলিন্ডার এবং নানা ধরনের উপকরন পান। এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন ওই সব মালামাল স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ লিপু শরীফের জিম্মায় রাখেন এবং পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ গ্রহণের স্বার্থে স্থানীয় জনতাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করার পরামর্শ দেন। কারখানা মালিক রফিককে উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য নির্দশে দিয়ে তারা ঘটনা স্থল ত্যাগ করেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয়রা জানান, এখানে সিলিন্ডারে গ্যাস ভরে স্টিকার লাগিয়ে সেগুলো বিক্রি কওে রফিক। এখানে কয়েকবার আগুনও লেগেছে। তিনি অন্যের জায়গা দখল করে কারখানা চালাচ্ছেন। প্রভাবশালী হওয়ায় তাকে কেউ কিছু বলতে পারছে না।
অভিযোগের ব্যাপারে কাটা রফিক গ্যাস কারখানা মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি খুলনাতে আছেন বলে ফোন কেটে দিয়ে।
এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট জাকির হোসেন বলেন, ওই রফিক একজন গ্যাস ব্যবসায়ী। সে একটি গ্যাস কোম্পানীর ডিলার। তিনি বিভিন্ন কোমপানির গ্যাস বিক্রি করেন। খালি বোতল গুলো নিজের মত করে রিফিল করে বিভিন্ন কোমপানির ট্যাগ লাগিয়ে বিক্রি করে, যা সমপূর্ণ অবৈধ। ওনার যদি লাইসেন্স থাকে ওই অনুসারে গ্যাস এনে বিক্রি করতে পারবেন কিন্তু ওনার রিফিল করার কোনো সুযোগ নাই। ওনার ওখানে অনেক গুলো খালি বোতল ছিলো এবং রিফিল করার যন্ত্রপাতি ছিলো। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউএনও সাহেব পরবর্তী ব্যবস্থা নিবেন।