পুঠিয়ায় শিশু পার্কটি শুধুমাত্র উপজেলা কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে কোনোরকম উন্নয়ন হচ্ছে না। বরং আগে যে কয়েকটি খেলাধুলার উপকরণ ছিল তা বর্তমানে ধবংস হয়ে গিয়েছে। পার্কে এখন পশুচারণ এবং নেশাগ্রস্তদের আড্ডাখানায় পরিনত হয়েছে বলে স্থানীয়রা অভিযোগ তুলেছেন। জানা গেছে, ২০২০ সালে সাবেক উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওলিউজ্জামান পার্কটির পরিকল্পনা করেন। পার্কটির জন্য ২.৬৯ একর জায়গা নির্ধারণ করা হয়। অতীতে এখানে পুঠিয়া রাজবাড়ীর গোপাল সাগরের পাশে রাজার আমলের বিশাল বিশাল আম গাছ ছিল। সরকারি আম বাগানে ছিন্নমূল মানুষরা যখন বসবাস করা শুরু করলেন। তখন হতে আম গাছগুলি পর্যাক্রমে মারা যাওয়া শুরু হলো। এরপর ছিন্নমূল বসতিবাড়ির সংখ্যা দিনদিন বৃদ্ধি হওয়ায়,সেখানে মাদক এবং কিছু বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়ে ছিল। সাবেক নির্বাহী কর্মকর্তার ওলিউজ্জামানের সময়ে পার্কের যা উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। বর্তমান ইউএনও সময়েও উপজেলার কোনো বরাদ্দ পার্কের নামে দেওয়া হয়নি। পার্কের কাজ বলতে তিনদিকে প্রাচীর দিয়ে ঘিরা রয়েছে। আর দুই/তিনটি শিশুদের খেলার খেলনা ্উপকরণ রয়েছে। সরেজমিনে দেখা গেছে, যে কয়েকটি খেলাধুলার উপকরণ ছিল তা অবহেলা ও রক্ষানোবেক্ষণের অভাবে ধবংস হয়ে গিয়েছে। সীমানা প্রচীর ভেঙে দিয়ে পার্কের ভিতর দিয়ে সাধারণ মানুষ যাতায়াত শুরু করে দিয়েছেন। বর্তমানে সম্পন্ন পার্ক জুড়ে পশুচারণ চলছে। পার্কের আশেপাশের মানুষদের অভিযোগ রাতে এখানে নেশাগ্রস্তদের আড্ডাখানা বসে। মাদককারবারি এবং নেশাগ্রস্তদের মাদক সেবন করার নিরাপরাধ স্থানে পরিনত হয়েছে। ইউএনওর দপ্তরে এলাকার উপজেলার রাজস্ব এবং এডিবির চলতি বছরের অনেক অর্থ রয়েছে। যা হতে পার্কে অর্থ বরাদ্দ দেওয়ার ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু তা করা হচ্ছে না। এদিকে উপজেলা পরিষদ চত্বরের ভিতরে কর্মকর্তাদের ব্যাডমিন্টন খেলার জন্য রাজস্ব ও এডিবির অর্থয়ানে কয়েক লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে। তা ছাড়াও উপজেলায় অপ্রয়োজনীয় অনেক প্রকল্পে ইতোমধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে বলে গুনজন শুনা যাচ্ছে। আবুল হোসেন নামের ব্যক্তি বলেন,উপজেলায় বিভিন্নরকম সরকারি বরাদ্দ এসে থাকে। জিল্লুর রহমান নামের ব্যক্তি বলেন, এখন ফ্যাসিবাদ সরকার নেই। উপজেলার রাজস্ব এবং এডিবি বরাদ্দগুলো উপজেলা প্রশাসন ইচ্ছা মতো ব্যয় দেখায়ে লুটপাট করে খাচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন বরাদ্দ হতে কিছু বরাদ্দ পার্কে দিলে সুন্দরভাবে পার্কটি নির্মাণ করা সম্ভব। শুধুমাত্র ইউএনওদের অবহেলার কারণেই পার্কটি নির্মাণ কাজ হচ্ছে না। সুমন মোল্লা বলেন, পুঠিয়া একটি পর্যটন এলাকা। প্রতিদিন প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শণগুলি দেখার জন্য দেশি-বিদেশী শতশত পর্যটকরা এখানে এসে থাকেন। তারপর এলাকার মান উন্নয়নের জন্য পার্কটি নির্মাণ করার প্রয়োজন রয়েছে। হোসেন আলি নামের ব্যক্তি বলেন, প্রযুক্তির যুগে শিশুরা এমনিতেই খেলাধূলা ছেড়ে দিয়েছে। রাজবাড়ির পার্শ্বে পার্কটি হলে এলাকার শিশু এবং অন্য এলাকার শিশুরা এসে আনন্দ উল্লাসে মেতে উঠতে পাড়বে।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুর হোসেন নির্ঝর যুগান্তরকে বলেন, আমি শুনেছি রাতের-আধাঁরে শিশু পার্কের কিছু সামগ্রী চুরি হয়েছে। চলতি অর্থ বছরের প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের কাবিখার বরাদ্দ হতে চার/পাঁচ লাখ টাকা ব্যয় করে শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা করা হবে।