কে এম নূরুল হুদার গলায় জুতার মালা, বিএনপির তদন্তের ঘোষণা

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমদ সোমবার (২৩ জুন) রাজধানীর উত্তরা এলাকায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে মব হেনস্তার ঘটনায় দলের কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাবিরোধী ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি গণমাধ্যমকে জানান, বিএনপি ‘মব’ সংস্কৃতির বিরুদ্ধে অবস্থান নেয় এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য অবিরাম সংগ্রাম করে যাচ্ছে।

রোববার (২২ জুন) রাতের দিকে উত্তরা এলাকায় জনতার হাতে আটক হন সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদা। আটকের সময় তাকে অবমাননাকর আচরণ করা হয় এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার গলায় জুতার মালা পরানোর একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, তারা যাওয়ার আগে ‘মব’ তাকে যথেষ্ট হেনস্তা করেছে।

সালাহ উদ্দিন বলেন, “আমরা মব কালচারে বিশ্বাস করি না। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হোক এবং আদালতের রায় যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হোক। বিচার প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা থাকতে হবে।” তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাবেক সিইসির গ্রেফতার ও বিচার প্রক্রিয়া আইনগতভাবে সুষ্ঠু ও যথাযথভাবে পরিচালিত হবে বলে তারা প্রত্যাশা করে।

তিনি বলেন, “তবে তার ওপর যে অবমাননাকর ব্যবহার হয়েছে, আমরা তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা।” তিনি স্পষ্ট জানান, যদি বিএনপির কেউ এই ঘটনায় জড়িত থাকে, তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশন নেওয়া হবে।

সালাহ উদ্দিন আরও বলেন, “আমরা চাই, কোনো ব্যক্তি যত বড় অপরাধীই হোক না কেন তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার অক্ষুণ্ন থাকতে হবে।”

বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য সাবেক সিইসি কে এম নূরুল হুদার দলীয়করণেরও তীব্র সমালোচনা করেছেন। তিনি বলেন, “বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করতে এবং নির্বাচনী ব্যবস্থাকে পুরোপুরি বিনষ্ট করতে যারা দায়ী, তাদের মধ্যে কে এম নূরুল হুদা অন্যতম। শেখ হাসিনার শাসন দীর্ঘায়িত করতে কিছু রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে কলুষিত ও ধ্বংস করার জন্য আরও কয়েকজন ব্যক্তি দায়ী, যেমন সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হক।”

তিনি জোর দিয়ে বলেন, “বিএনপি কখনোই মব বা অপসংস্কৃতিতে বিশ্বাস করে না।”