‘অলিম্পিক ডে রান-২০২৫’ উদযাপিত

এফএনএস (মিজানুর রহমান; চাঁদপুর) : | প্রকাশ: ২৪ জুন, ২০২৫, ০৮:৩১ পিএম
‘অলিম্পিক ডে রান-২০২৫’  উদযাপিত

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে  ২৪ জুন ২০২৫ তারিখ মঙ্গলবার ঢাকাসহ ৭টি বিভাগীয় শহরে অলিম্পিক ডে ২০২৫ উদযাপিত হয়েছে। এ উপলক্ষে কেন্দ্রীয়ভাবে বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে অনাড়ম্বর পরিবেশে সকাল ৬:৩০ টায় বিওএ’র  সভাপতি ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি বেলুন উড়িয়ে র‌্যালীর শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করেন। র‌্যালীটি বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণ হতে আরম্ভ হয়ে শিক্ষা ভবন-বাংলাদেশ সচিবালয়-জিরো পয়েন্ট-জিপিও-জাতীয় স্টেডিয়ামের ১নং গেট হয়ে জাতীয় স্টেডিয়াম, ঢাকায় এসে শেষ হয়। র‌্যালীতে বিওএ’র সম্মানিত সদস্যবৃন্দ, যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন ক্রীড়া ফেডারেশন, এসোসিয়েশন, ক্লাব, বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, আনসার ও ভিডিপি ক্রীড়া নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের খোলোয়াড়, বিভিন্ন স্কুল, কলেজের ছাত্র-ছাত্রী এবং বিভিন্ন সংগঠন/সংস্থার ক্রীড়া সংগঠকসহ ক্রীড়ানুরাগী ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন। র‌্যালী শেষে অংশগ্রহনকারীদের মাঝে হালকা নাস্তা ও সার্টিফিকেট বিতরন করা হয়।

পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে সমাপনী অনুষ্ঠানের কার্যক্রম আরম্ভ করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ’র সম্মানিত সভাপতি ও সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, এসবিপি, ওএসপি, এসজিপি, পিএসসি, আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির পতাকা উত্তোলন করেন বিওএ’র মহাসচিব জনাব সৈয়দ শাহেদ রেজা এবং বিওএ’র পতাকা উত্তোলন করেন অলিম্পিক ডে সাংগঠনিক কমিটির আহবায়ক এবং বিওএ’র উপ-মহাসচিব জনাব আশিকুর রহমান মিকু। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এনসিডিসি-র ডেপুটি প্রোগ্রাম ম্যানেজার ড. সজীব রায় ফিজিক্যাল একটিভিটির গুরুত্ব সম্পর্কে একটি সচেতনতামূলক বক্তব্য প্রদান করেন। অতঃপর প্রধান অতিথি বাংলাদেশ হতে যে সকল ক্রীড়াবিদ অলিম্পিক গেমসে অংশগ্রহণ করেছেন সে সকল বরেণ্য ক্রীড়াবিদ/অলিম্পিয়ানদের মাঝে অলিম্পিক ডে সার্টিফিকেট বিতরণ করেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিওএ’র সম্মানিত সভাপতি বিভিন্ন প্রকার ক্রীড়া একটিভিটির প্রচার ও প্রসারের মাধ্যমে ফিজিক্যাল একটিভিটির উপর বাংলাদেশ অলিম্পিক এসোসিয়েশন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করা যাচ্ছে, এ বিষয়ে আলোকপাত করেন। তিনি বলেন ফিজিক্যাল একটিভিটি না করার কারনে আমরা হাইপার টেনশন, ডায়বেটিস, হৃদরোগ ইত্যাদি বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছি। আমরা ভাল খাবার না খেয়ে লবন ও তৈলাক্ত জাতীয় খাবার গ্রহণ করছি। এ ক্ষেত্রে আমরা যদি ফিজিক্যাল একটিভিটিস গুলি জাগিয়ে রাখতে পারি তাহলে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম সুস্থ থাকতে এবং দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করে যেতে পারবে। ঢাকা শহরে খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে ফিজিক্যাল একটিভিটি ফলপ্রসূ হবে। বাংলাদেশের বিভিন্ন জায়গায় আমরা এ ধরনের প্রোগ্রাম আয়োজনের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবো এবং আপনাদের এ ধরনের প্রোগ্রামে অংশগ্রহণের জন্য অনুরোধ করবো। আমরা অতীতে ফিজিক্যাল একটিভিটির অংশ হিসেবে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। সেখানে একই পরিবারের মা-বা সন্তানেরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। এটা আমাদেরকে আশান্বিত করে। তিনি অনুষ্ঠান আয়োজনে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, বাংলাদেশ পুলিশ, বাংলাদেশ শিশু একাডেমি, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ কর্তৃক সর্বাত্মক সহযোগিতা, পৃষ্ঠপোষকতা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃক আর্থিক সহায়তা এবং ধর্ম, বর্ণ, গোত্র নির্বিশেষে সকল স্তরের জনগণ স্বতস্ফুর্তভাবে র‌্যালীতে অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানকে মহিমান্বিত করার জন্য আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে