খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) প্রধান কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে ‘ছাত্র-জনতা’। বুধবার দুপুরে কেএমপি কার্যালয় ঘেরাও করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) ও ‘ছাত্র-জনতা’। জুলাই অভ্যুত্থানে হামলার অভিযোগে এসআই সুকান্ত দাশকে আটকের পরে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে এ ঘটনা ঘটে।
রিপোর্টটি লেখা অবস্থায় (সন্ধ্যা ৬টা) সড়কে বিক্ষোভ করছিলেন আন্দোলনকারীরা। পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো সাড়া না পাওয়ায় কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগের এক দফা দাবি জানিয়েছেন আন্দোলনকারীরা।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে খানজাহান আলী থানা এলাকা থেকে স্থানীয়রা মারধর করে উপ-পরিদর্শক সুকান্তকে পুলিশের হাতে তুলে দেয়। তিনি বর্তমানে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা থানায় কর্মরত আছেন। আদালতে একটি মামলার সাক্ষী দিতে খুলনায় এসেছিলেন তিনি। তার নামে খুলনা সদর থানায় ছাত্র-জনতার ওপর হামলার ঘটনায় গত ১২ ডিসেম্বর মামলা করা হয়। মামলাটি বর্তমানে ডিবিতে তদন্তাধীন। এছাড়া বিএনপির নগর সভাপতি শফিকুল আলম মনার বাড়ি ভাঙচুরসহ দুটি মামলা চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে খানজাহান আলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবীর হোসেন বলেন, গতকাল এসআই সুকান্ত আদালতে সাক্ষী দিয়ে বাইকযোগে কর্মস্থলে ফিরছিলেন। এ সময় শিরোমণি এলাকায় পৌঁছালে স্থানীয়রা তাকে মারধর করে। এ সময় পুলিশ তাকে উদ্ধার করে। পরবর্তীতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে তিনি চলে যান। তার বিরুদ্ধে খান জাহান আলী থানায় কোনো অভিযোগ নেই।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘এসআই সুকান্ত একজন পুলিশ সদস্য, পলাতক নয়। তিনি এখন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আন্ডারে আছে। তাই পুলিশ সুপার তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন।পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে যদি কোনো অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ব্যবস্থা নিতে হয় তাহলে সেটা নিতে পারে।’
এখানে তাকে বিক্ষুব্ধ জনতার হাত থেকে উদ্ধার করে চিকিৎসার ব্যবস্থা করে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।