বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী শুক্রবার রাজধানীতে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট, ঢাকা মহানগর আয়োজিত রথযাত্রা উপলক্ষে অনুষ্ঠানে বললেন, “আজকে একটা মুক্ত পরিবেশ বিরাজ করছে। আমরা প্রত্যাশা করি, সামনে ভালো রাজনীতি হবে, সত্যিকারের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা পাবে। আমরা সেই পরিস্থিতির মধ্যে ফিরে যেতে চাই না, যেখানে সরকারকে ক্ষমতায় বসানোর অধিকার জনগণের কাছে ছিল না। সেই অধিকার শেখ হাসিনা কেড়ে নিয়েছিলেন।”
রুহুল কবির রিজভী আরও যোগ করে বলেন, “গত ১৬ বছর শেখ হাসিনা তার সাজানো বাহিনী দিয়ে তার পথের কাটা দূর করার জন্য এবং চিরদিনের জন্য রানী হয়ে থাকার জন্য বিরোধী দলকে দমন করেছেন। তার শিকার হিয়েছি বিরোধী দলসহ সবাই। শেখ হাসিনার টার্গেট ছিল গণতন্ত্রের পক্ষে কেউ কোনো কথা বলতে গেলে, তাকে বর্বোচিত আক্রমণ সইতে হবে। এই ভাগ্যের লিখন নির্ধারণ করতেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা তার ঘনিষ্টজনদের দিয়ে বাংলাদেশকে ডাকাতদের গ্রাম বানাতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ছাত্রজনতা সেটি করতে দেয়নি। প্রতিহত করেছে। বাংলাদেশে এ ধরনের কাজ করা যায় না।”
“শেখ হাসিনার দোসর হাবিবুল আউয়ালই এখন বলছে, দুই টার্মের নির্বাচন ছিল ডামি নির্বাচন। আমরা তো এটা আগেই বলেছি। এই নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য আমরা চেষ্টা করেছি। আমাদের নেতাকর্মীদের নির্যাতন করা হয়েছে। অনেককে ক্রসফায়ারে দেওয়া হয়েছে। ডামি নির্বাচন প্রতিহত করার জন্য অসংখ্য নেতাকর্মী পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। অন্ধ হয়ে গেছেন দুইশ থেকে তিনশর মতো নেতাকর্মী।”
বিএনপির এ নেতা বলেন, “আজকে হাবিবুল আউয়াল বলছেন, ডামি নির্বাচন হয়েছে। আপনি তো শিক্ষিত লোক ছিলেন, সচিব ছিলেন। আপনার সেদিন বিবেকে বাধেনি, আপনার ভুল কাজটি করার জন্য চেইন রিক্যাকশনে জনগণ ও দেশের কত ক্ষতি হবে। এই ভোটারবিহিনী ডামি নির্বাচন একটা অবৈধ নির্বাচন। তাহলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যেটি ছিল, সেটি অবৈধ পার্লামেন্ট, অবৈধ প্রধানমন্ত্রী, অবেধ রাষ্ট্রপতি এবং তাদের হাত দিয়ে যারা নিয়োগ হয়েছিলেন-সচিব বলুন আর বিভিন্ন করপোরেশনের কর্মকর্তারা বলুন, তারা প্রত্যেকে অবৈধ এবং তাদের নিয়োগ করা বিচারকরাও অবৈধ ছিলেন। তাদের দেওয়া রায়গুলোও ছিল অবৈধ। তাহলে একটা অবৈধ দুঃশাসন ও আইনের মধ্যে আমাদের জীবন যাপন করতে হয়েছে।”