হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা ব্র্যাড পিটের লস অ্যাঞ্জেলেসের বাড়িতে দুর্র্ধষ চুরির ঘটনা ঘটেছে। সিনেমার প্রচারে ব্যস্ত থাকায় তার ফাঁকা বাড়িতে চোরেরা হানা দেয় বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে। চুরির এই ঘটনা আবারও লস অ্যাঞ্জেলেসে তারকাদের বাড়িতে ধারাবাহিক চুরির আতঙ্ককে সামনে এনেছে।
লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশের দেওয়া তথ্যমতে, গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে লস ফেলিজ এলাকার একটি বাড়ির সামনের জানালা ভেঙে তিনজন চোর ভেতরে ঢ়ুকে পড়ে এবং বাড়ির বিভিন্ন অংশ তছনছ করে।
পুলিশ এখনো নিশ্চিত করেনি যে, চুরির শিকার হওয়া বাড়িটি ব্র্যাড পিটের কিনা। তবে ওই বাড়ির ঠিকানা অভিনেতা ব্র্যাড পিটের ২০২৩ সালে কেনা বাড়ির সঙ্গে মিলে যায় বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
পুলিশ জানিয়েছে, চোরেরা জানালা ভেঙে বাড়িতে ঢ়ুকেছিল। বাড়ির ভেতরে তছনছ করা হয়েছে। তবে কী কী জিনিস চুরি হয়েছে বা আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ কত, সে বিষয়ে নিশ্চিত কোনো তথ্য এখনও মেলেনি।
ঘটনার সময় ব্র্যাড পিট বাড়িতে ছিলেন না। তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছিলেন, নতুন সিনেমা ‘এফ ওয়ান: দ্য মুভি’-এর প্রচারে। এ সফরে তার সঙ্গে ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা টম ক্রুজ এবং ফর্মুলা ওয়ানের সাতবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন লুইস হ্যামিলটন। ব্র্যাড পিট সর্বশেষ গত রোববার লন্ডনের লেস্টার স্কয়ারে সিনেমাটির ইউরোপীয় প্রিমিয়ারে অংশ নিয়েছিলেন। এই সিনেমায় তিনি সাবেক ফর্মুলা ওয়ান রেসিং ড্রাইভার সানি হেইসের চরিত্রে অভিনয় করেছেন।
চুরির ঘটনায় লস অ্যাঞ্জেলেস পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। চোরেরা চুরি করা জিনিসপত্রসহ পালিয়ে গেছে এবং এখনো ধরা পড়েনি। এছাড়া পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এই চুরির ঘটনা লস অ্যাঞ্জেলেসে তারকাদের লক্ষ্য করে ঘটে চলা অপরাধের ধারাবাহিক অংশ কি না।
লস অ্যাঞ্জেলেসে তারকাদের বাড়িতে চুরির ঘটনা নতুন নয়। এর আগে- ২০২২ সালের ভালোবাসা দিবসে অভিনেত্রী নিকোল কিডম্যান এবং গায়ক কিথ আরবান চুরির শিকার হন। এর আগের বছর চুরি হয়েছিল টম হ্যাঙ্কস এবং রিটা উইলসনের বাড়িতে। এমনকি গত মাসে ব্র্যাড পিটের সাবেক স্ত্রী জেনিফার অ্যানিস্টনের বাড়িতে এক ব্যক্তি গাড়ি নিয়ে জোর করে প্রবেশের চেষ্টা করেন এবং পরে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো জানিয়েছে, ব্র্যাড পিটের লস ফেলিজের বাড়িটি তিন বেডরুম বিশিষ্ট এবং লস অ্যাঞ্জেলেসের গ্রিফিথ পার্কের উল্টো দিকে অবস্থিত। বাড়িটি উঁচু দেয়াল ও গাছপালায় আড়ালে থাকা থাকায় বাইরে থেকে দেখা কঠিন।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি ব্র্যাড পিটের প্রতিনিধিদের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের কাছ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
এই চুরির ঘটনা আবারও প্রশ্ন তুলেছে- লস অ্যাঞ্জেলেসের তারকাদের বাড়ি কি অপরাধীদের বিশেষ নিশানা হয়ে উঠছে? পুলিশ এখনো ঘটনার তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছে।