চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলার উপাদি দক্ষিণ ইউনিয়নের একটি বাড়ির সেপটিক ট্যাংকি থেকে ১১ জুলাই শুক্রবার রাতে ফাতেমা বেগম রুপালি (৩৯ ) নামের এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও এলাকাবাসী জানান, নিহত রুপালি ওই ইউনিয়নের ঘোড়াধারী গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির বাসিন্দা। তার ৪র্থ স্বামী জামাল গাজী ( ৪৫) এর বাড়ি পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার ঘেরামর্ধন গ্রামে । সে ৫ সন্তানের জননী ছিল।
জানা যায়, বছর খানেক পূর্বে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ( ফেইসবুক) তাদের পরিচয় ও পরবর্তীতে বিবাহ হয়। বৃহস্পতিবার রাতে তাদের মধ্যে প্রথমে কথা কাটাকাটি, ঝগড়া বিবাদ ও পরে মারামারির ঘটনা ঘটে। ছেলে সোহান (১৫) এ সময় মা বাবাকে ধমক দেন। পরে সে ঘুমিয়ে পড়ে। শুক্রবার সকালে ঘুম থেকে উঠে তার মাকে দেখতে না পেয়ে চারদিকে খোঁজাখুজি করে। এভাবে শুক্রবার সারাদিন চলে যায়। পরে শুক্রবার রাতে তার নানী মরিয়ম বেগম (৬৫) টয়লেটের সেফটি ট্যাংকির ঢাকনা খোলা দেখতে পায়। সেখানেই সে তার মেয়ের রক্তাক্ত দেহ দেখে ডাকচিৎকার দেয়। আশপাশের লোকজন নিহতের লাশ দেখে পুলিশে খবর দেয়। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায় ।
এদিকে ওই দিন রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ লুৎফর রহমান, সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) খায়রুল কবির।
মতলব দক্ষিণ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালেহ আহমেদ জানান, স্থানীয়রা সেপটিক ট্যাংকিতে লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে তারা লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার পর থেকে স্বামী জামাল গাজী পলাতক রয়েছে।
আজ শনিবার সকালে নিহতের ছেলে টিপু পাটোয়ারী (২১) বাদি হয়ে বাবা জামাল গাজীকে আসামিকে করে থানায় মামলা দায়ের করেছেন।