অবহেলিত এলাকাবাসীর স্বপ্ন পূরণে এবং বিএনপির তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের জোড়ালো দাবির প্রেক্ষিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ (মুলাদী-বাবুগঞ্জ) আসনের প্রার্থী হিসেবে নিজের প্রার্থীতা ঘোষণা করেছেন আব্দুস ছাত্তার খান।
মুলাদী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি, বরিশাল উত্তর জেলা বিএনপি সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, উত্তর জেলা বিএনপির বর্তমান কমিটির সিনিয়র সদস্য ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুস ছাত্তার খান আজ শনিবার (১২ জুলাই) দুপুরে স্থানীয় সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যদিয়ে মুলাদী ও বাবুগঞ্জের পিছিয়ে পড়া এলাকাবাসীর মাঝে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে সংসদ সদস্য পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করতে দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো।
তিনি আরও বলেন, দলের দুর্দীনে তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম করার আমার অতীত কর্মকান্ড বিবেচনা করে দলের নিতীনির্ধারকরা আমাকে মনোনয়ন দিলে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো।
জানা গেছে, মুলাদীর সম্ভ্রান্ত মুসলিম ও রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান আব্দুস ছাত্তার খান স্কুল জীবন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত রয়েছেন। এবার তিনি নিজের আদর্শ, মেধা ও দূরদর্শিতা দিয়ে বরিশাল-৩ আসনের উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করতে চান।
সূত্রমতে, ১৯৮১-৮২ সালে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বণির্ভর বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে খাল কাটা কর্মসূচিসহ বিএনপির ১৯ দফা কর্মসূচি দেখে তার (জিয়াউর রহমান) আদর্শে অনুপ্রানিত হয়ে বিএনপির সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে ছাত্র রাজনীতিতে পদার্পন করেন আব্দুস ছাত্তার খান।
পরবর্তীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মুলাদী কলেজ শাখার সভাপতি নির্বাচিত হয়ে ছাত্রদলের কার্যক্রম শুরু করেন।১৯৮৬-৮৭ সালে জাতীয়তাবাদী যুবদল মুলাদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বচিত হন।
১৯৮৮-৮৯ সালে যুবদলের মুলাদী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বচিত হন। ১৯৯৭ সালে ৬ নম্বর মুলাদী ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে চেয়ারম্যান তিনি নির্বাচিত হন।
১৯৯৮-৯৯ সালে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মুলাদী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ও ২০০১ সালে মুলাদী পৌরসভা নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে তিনি পৌরসভার প্রথম মেয়র নির্বাচিত হয়ে এলাকার উন্নয়নে ব্যাপক সফলতা অর্জন করে জাপ্রিয়তা লাভ করেন।
২০০৩-০৪ সালে বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে মুলাদী উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত এবং ২০০৯ সালে ২২ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে মুলাদী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সুনামের সাথে এলাকার উন্নয়নে আব্দুস ছাত্তার খান ব্যাপক ভূমিকা রাখেন।
পরবর্তীতে ২০০৯-১০ সালে বিএনপির বরিশাল সদর উত্তর জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলনে জেলার সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত ও বর্তমানে বিএনপির মুলাদী উপজেলা শাখার সদস্য এবং বরিশাল সদর উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
বিগতদিনে বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া ও সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মুক্তির আন্দোলনসহ দলের দুর্দীনের প্রতিটি আন্দোলন সংগ্রাম তৃণমূল বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে রাজপথে পালন করতে গিয়ে তিনি একাধিকবার আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলার স্বীকার ও অসংখ্য মামলায় গ্রেপ্তার করে কারাভোগ করেছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা আবুল কালাম, জাহিদুল ইসলামসহ অনেকেই জানিয়েছেন, গত বছরের ৫ আগস্টের পর এ আসন থেকে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার জন্য অনেকেই বসন্তের কোকিলের ন্যায় ছোটাছুটি করছেন। অথচ বিগত ১৭ বছরে তাদের কাউকে মাঠ পর্যায়ে পাওয়া যায়নি।
তারা আরও বলেন, আব্দুস ছাত্তার খান তৃণমূল পর্যায়ের দলীয় নেতাকর্মীদের সুখে-দুঃখের একমাত্র ভরসাস্থল। তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৩ আসনের দলীয় নেতাকর্মী থেকে শুরু করে সর্বস্তরের সাধারণ ভোটাররা আব্দুস ছাত্তার খানকে ধানের শীষের প্রার্থী হিসেবে পেলে হারানো এ আসনটি পুনরুদ্ধার করা সম্ভব হবে।
বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে নিজেকে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা দেওয়া আব্দুস ছাত্তার খান বলেন, দল থেকে আমাকে মনোনয়ন দেওয়া হলে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় অবহেলিত বরিশাল-৩ আসনটিকে রোল মডেল হিসেবে গড়ে তোলা হবে।