এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা জেলায় জেলায় যখন পদযাত্রা শুরু করেছি, জোয়ারের মত মানুষের ঢল নেমেছে, চারিদিকে যখন বাধভাঙ্গা উচ্ছাসের পদধ্বনি, তখন আমাদের বিরুদ্ধে শুরু হয়েছে নতুন করে ষড়যন্ত্র। গন অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনার পতন হলেও এখনো আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলমান আছে।
নাহিদ অভিযোগ করে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে শুরু করে সেনাবাহিনীর আমলাতন্ত্রের সিস্টেম আর ডিজিএফআই সহ বাংলাদেশের এস্টাবলিস্টমেন্ট গুলো এই অভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এখনো ষড়যন্ত্র করছে।
নাহিদ বলেন, আমরা মাফিয়া দুর্নীতিবাজ সিস্টেম বদল করতে গিয়ে বাধার সম্মুখীন হচ্ছি। ফেসিস্ট হাসিনার পতন ঘটানো হলেও আরেকটি নতুন দলের আবির্ভাব ঘটেছে। যারা বাহাত্তরের মুজিববাদ সংবিধান রক্ষা ও দুর্নীতি চাঁদাবাজের পক্ষে দাঁড়িয়েছে। বিএনপি এদেশে বিভাজন তৈরী করে চাঁদাবাজদের পাহাড়াদারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে। জুলাই আগস্ট বিপ্লবের বিরুদ্ধে যারা দাঁড়াবে তাদের সাথে কোন আপোষ নেই ঐক্য নেই।।
এনসিপির মুখ্য সংগঠক দক্ষিণ হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এবছরের আগস্ট হবে স্বৈরাচারের বাংলাদেশ মুক্ত ইতিহাস।
বিচার, সংস্কার, দেশ পুনর্গঠন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়ন করা এবং একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবী নিয়ে আয়োজিত সমাবেশে নাহিদ ইসলাম একথা বলেন। সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন পটুয়াখালী জেলা এন সিপির সমন্বয়ক জহিরুল ইসলাম মুসা।
এরআগে দুপুরে সার্কিট হাউসের সামনে থেকে নিউমার্কেট মোড় হয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে পদযাত্রা শুরু হয়। নাহিদ ইসলাম, হাসনাত আব্দুল্লাহ, সারজিস ইসলাম, ডা. তাসনীম জারা-সহ শতাধিক কেন্দ্রীয় নেতার নেতৃত্বে শহরের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে পদযাত্রাটি। তারা পদযাত্রা শেষে শহীদ পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন।
দিনব্যাপি কর্মসূচি শেষে বিকেলে নেতৃবৃন্দ বরগুনার উদ্দেশ্যে পটুয়াখালী ত্যাগ করেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থানীয় নেতারা।
এদিকে এ কর্মসূচী উপলক্ষে শহরজুড়ে বিরাজ করছে উৎসবমুখর পরিবেশ। শহরের প্রধান সড়কজুড়ে রঙিন ব্যানার, ফেস্টুন, তোরণ ও পতাকায় সেজেছে পুরো এলাকা।
জাতীয় নাগরিক পার্টির দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক, উত্তর অঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, উত্তর অঞ্চলের মূখ্য সমন্বয়ক সারজিস ইসলাম এবং যুগ্ম আহ্বায়ক মুজাহিদুল ইসলাম শাহিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।