রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে পুলিশে সোর্পদ

এম এম মামুন; রাজশাহী | প্রকাশ: ১৭ জুলাই, ২০২৫, ০৬:০৪ পিএম
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন কর্মচারীকে পুলিশে সোর্পদ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) আওয়ামীপন্থী তিন কর্মচারীকে পুলিশে সোর্পদ করেছে জুলাই বিপ্লব চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যরা।বৃহস্পতিবার(১৭জুলাই) দুপুর আড়াই টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরের উপস্থিতিতে তাদের মতিহার থানায় সোর্পদ করা হয়। অভিযুক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব রক্ষক সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মাসুদ,পরিক্ষা নিয়ন্ত্রক দপ্তরের সেকশন অফিসার পঙ্কজ কুমার ও অর্থ ও হিসাব রক্ষক উপ-পরিচালক আমিনুল হক রাসেল। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে অফিস চলাকালীন জুলাই বিপ্লব চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য পরিচয়ে তাদের (অভিযুক্ত) ধরে নিয়ে আসে। তারা অভিযোগ করেন তারা(অভিযুক্ত) জুলাই আন্দোলনে ছাত্রজনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিল। পরবর্তীতে মতিহার থানার ওসি (ভারপ্রাপ্ত) ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে এবিষয়ে অবগত করা হয়। জুলাই বিপ্লব চেতনা বাস্তবায়ন কমিটির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আমরা গত সপ্তাহে রেজিস্ট্রারের নিকট দাবি জানালে আজকে এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন। কিন্তু আজ আসার পর তিনি আমাদের পাত্তাই দিচ্ছেন না। তাঁরা কোনো পদক্ষেপ না নেওয়াই আমরা পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হয়েছি। আমরা আজ যাদের ধরেছি তারা সবাই এজাহার ভুক্ত আসামি এবং আওয়ামী লীগের দোসর। অভিযুক্ত আমিনুল হক রাসেল মামলার বিষয়ে বলেন, কেন মামলা করা হয়েছে তা জানিনা। কিন্তু আমার একটাই দোষ আওয়ামী লীগের আমলে চাকরি হয়েছে। আরেক অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, আমি ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগ করেছি কিন্তু পরে আর কোনো রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম না। এমনকি আমি নিজেও ছাত্রলীগ দ্বারা নির্যাতিত হয়েছি। মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল মালেক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ও মামলা থাকায় আমরা তাদের থানায় নিয়ে এসেছি। যেহেতু বোয়ালিয়া থানায় তাদের নামে মামলা রয়েছে আমরা তাদের সেখানে প্রেরণ করব। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবুর রহমান বলেন, ঘটনাটি ভালোভাবে দেখার সুযোগ নেই। আমি জানতাম না তাদের অফিস ডেস্ক থেকে ধরে নিয়ে এসেছে। এরকম জানলে তাদের নিয়ে যেতে দিতাম না। যদি কারও বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ থাকে তাহলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সেবিষয়ে সহযোগিতা চায়তে পারে। বাহিরের কেউ একজন এসে ধরিয়ে দিবে এটা মোটেও ঠিক না বা আগামী সময়ে তা হতে দেওয়া হবে না। তিনি বলেন, ভবিষ্যতে যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় তাহলে শুধু আইন শৃঙ্খলা বাহিনীই আমার কক্ষে প্রবেশের অধিকার পাবে বাহিরের কাওকে ঢোকার অনুমতি দেওয়া হবে না।