নওগাঁর পোরশায় ২০ গ্রামে পাকা রাস্তা নেই হাজারো মানুষের দূর্ভোগ। নানা প্রতিকূলার মধ্যে গ্রাম গুলিতে বসবাসরত জনগণ কাঁচা রাস্তা দিয়ে চলাচল করছেন। এতে সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন তারা। বর্ষায় রাস্তাগুলি দিয়ে যানবাহন চলাচল করতে পারেনা। স্থানীয় জনগণ হেঁটে যেতে পারেনা বলে তারা জানান। বিগত সময়ে অনেকে রাস্তা পাকা করণের প্রতিশ্রুতি দিলেও তা হয়নি। একারনে বর্তমান সরকারের কাছে কাঁচা রাস্তা গুলি খুব তাড়াতাড়ি পাকা করণের দাবি করছেন ভুক্তিভুগিরা। সরকারি একটি সূত্রমতে, ২৭২ বর্গ কিলোমিটারের এ উপজেলায় ৩৯৩ কিলোমিটার রাস্তার মধ্যে মাত্র ৮২ কিলেঅমিটার রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছে। কাঁচা রাস্তা রয়েছে ৩১১ কিলোমিটার। এর মধ্যে পাকা করণ করা প্রয়োজন এমন গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা হচ্ছে তেঁতুলিয়া ইউনিয়নের জালুয়ার মোড় থেকে পুরইল প্রাথমিক বিদ্যালয় পর্যন্ত ১.৪ কিলেঅমিটার, পূর্বগ্রাম ওস্তাপাড়ার মোড় থেকে পূর্বগ্রাম মাদ্রাস মোড় পর্যন্ত ১.৭ কিলোমিটার রাস্তা। পোরশা হাটখলা বাজার থেকে দিঘিপাড়া পর্যন্ত প্রায় আড়াই কিলোমিটার রাস্তা। তেঁতুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ঠনঠনিয়া পাড়া, শাহাপাড়া হয়ে নতুন পুকুর পর্যন্ত প্রায় ৪ কিলোমিটার রাস্তা। ছাওড় ইউনিনের হাড়ভাঙ্গা মসজিদ থেকে রবিউল মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত ৫০০মিটার রাস্তা। নিতপুর ইউনিয়নের বড় ব্রীজের মোড় হতে কুলাডাঙ্গা হয়ে বিষ্ণপুর মোড় পর্যন্ত প্রায় ৫ কিলোমিটার রাস্তা। এছাড়াও দুয়ারপাল, গানইর রাস্তা। ঘাটনগর ইউনিয়নের কালুকান্দর, ফারাদপুর, বাংধারা, মন্ডলিয়াপাড়ার রাস্তা, মশিদপুর ইউনিয়নের বিলাশইল, কাতকইল, শরিয়ালা, গোরখাই সহ বিভিন্ন রাস্তা।
প্রায় দেড়শ বছরের পুরাতন এই রাস্তা গুলি চলাচলের দিক থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলেও পাকা করণ করা হয়নি।
জালুয়া গ্রামের স্বাস্থ্য কর্মী খাইরুল ইসলাম ও পুরইল গ্রামে প্রাথমিক শিক্ষক হাসান শাহ্ জানান, উল্লেখিত রাস্তাগুলি চলাচলের দিক থেকে বেশী গুরুত্বপূর্ণ হওয়ায় রাস্তাগুলি দ্রুত পাকা করণ দরকার। বিগত সময়ে এমন কিছু রাস্তা পাকা করণ করা হয়েছে যে রাস্তাগুলি দিয়ে মাসে একটি যানবাহনও চলাচল করেনা। সতরাং এ রাস্তাগুলিতে কোন উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি বলে তারা জানান। অপরদিকে, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পড়ুয়া শিক্ষার্থীদের স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসায় যাতায়াত করতে পারে না। অনেক সময় তারা বৃষ্টিতে ভিজে কাদামাটি মেখে বাড়িতে চলে আসে। এসব রাস্তায় হাঁটু পরিমান কাঁদা জমে থাকায় শিক্ষার্থীরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে না গিয়ে নিজ বাড়িতে বসে থাকে। তবে স্থানীয়রা উপজেলার এই গ্রামীন সড়কগুলো দ্রুত পাকা করণের জন্য উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।