নওগাঁর মহাদেবপুর থানা পুলিশ হালিমা খাতুন (৪০) নামে এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে। তিনি উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়া পদে কর্মরত ছিলেন। জেলার রাণীনগর উপজেলার বালুভরা গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের মেয়ে। প্রায় আট বছর ধরে তিনি মহাদেবপুর উপজেলা সদরের কুশার সেন্টারপাড়ার আনিছর রহমানের ভাড়া বাসায় একাই বসবাস করতেন। তার স্বামী মারা গেছেন ও এক মেয়েকে বদলগাছী উপজেলায় বিয়ে দিয়েছেন।
বাড়িওয়ালা আনিছুর রহমান জানান, প্রতিদিনের মত রোববার (২০) জুলাই বিকেল ৫টার পরেও তার ভাড়াটিয়া হালিমা বেগম অফিস থেকে বাসায় না ফিরলে তিনি খোঁজ নিতে সন্ধ্যা ৬টায় উপজেলা কৃষি কর্মকর্তার কার্যালয়ে সেখান। সেখানে একজন কর্মকর্তা জানান, হালিমা আজ অফিসেও আসেননি, কিম্বা ছুটিও নেননি। তার মোবাইলফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর আনিছুর হালিমার ঘরের সামনে গিয়ে দেখতে পান দুইটি দরজাই ভিতর থেকে লাগানো। এসময় তিনি বিষয়টি থানা পুলিশকে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে হালিমার ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ঘরের মেঝেতে হালিমার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন।
মহাদেবপুর থানার এসআই আসাদুজ্জামান জানান, রোববার দিবাগত রাতে মরদেহ উদ্ধার করে থানায় আনা হয়। সোমবার ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। তিনি জানান, মরদেহের পাশে মোবাইলফোনের চার্জার দেখে ধারণা করা যায় যে, রাতে মোবাইলফোন চার্জে দিতে গিয়ে তিনি বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যেতে পারেন।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের একজন কর্মকর্তা মাহবুব আলম জানান, হালিমা খাতুন তাদের কার্যালয়ের আয়া। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ হোসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সোমবার বিকেলে হালিমার গ্রামের বাড়িতে গিয়ে তার নামাজে জানাযায় অংশ নেন।
প্রকৃতপক্ষে কিভাবে তার মৃত্যু হলো তা নিয়ে এলাকায় চলছে গুঞ্জন। তাদের অভিমত বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খতিয়ে দেখা প্রয়োজন।