মীরগঞ্জের মহদিপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে

বাঘায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত ২৫

আমানুল হক আমান; বাঘা, রাজশাহী | প্রকাশ: ৩০ জুলাই, ২০২৫, ০৭:২১ পিএম
বাঘায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ আহত ২৫
রাজশাহীর বাঘায় দু’পক্ষের দ্বন্দ্বে সংঘর্ষে শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। বুধবার (৩০ জুলাই) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার মনিগ্রাম ইউনিয়নের মীরগঞ্জের মহদিপুর হিলালপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন। জানা গেছে, প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক বিদ্যালয়ের নিয়োগ বানিজ্য, অনিয়ম, দূর্নীতি, অনৈতিকভাবে টাকা নিয়ে বিদ্যালয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কিছু লোক নিয়োগ করা হয়। এই টাকা দিয়ে বিদ্যালয়ের উন্নয়নের দাবি করেন সহকাারী শিক্ষকরা। এতে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক রাজি না হওয়ায় সহকারী শিক্ষককরা একত্রিত হয়ে ২০ জানুয়ারী তাকে ধাক্কাতে ধাক্কাতে বিদ্যালয় থেকে বের করে দেন। এ ঘটনার পর স্থানীয়সহ বিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের ২৪ লক্ষ টাকা নিয়োগ বানিজ্য ও অনিয়ম এবং দূনীতির বিচারের দাবিতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন। অভিযোগ দীর্ঘ দিন অতিবাহিত হলেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় ৪ মে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেকের পদত্যাগের দাবিতে মানববন্ধন করেন। অপর দিকে নিয়ম বর্হিভূতভাবে জোরপূর্বক প্রধান শিক্ষকে আবদুল খালেককে পদত্যাগ করানো হচ্ছে বলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ করেন। প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক তার লোকজন নিয়ে বিদ্যালয়ে আসেন। এতে সহকারি শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা উত্তেজিত হয়ে উঠে। এক পর্যায়ে তর্কবিতর্ক শুরু হলে একে উপরের উপর হামলা করা হয়। এতে প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক, তার ভাই আমানুল্লাহ, আনোয়ার হোসেন, আবদুল হক, নেক আলম, দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুল ওয়াদুদ, সহকারি শিক্ষক জাকির হোসেন জুয়েল, আকাশ আহম্মেদ, জীবন হোসেন, সাগর আলী, মারুফ হোসেন, সুমাইয়া খাতুন, রুবেল হোসেন, রাইদুল ইসলাম, বজলুর রহমান, স¤্রাট আলী, রাজ আহম্মেদ, রাহাবুল হোসেন, রুবেল ইসলাম, রাহাবুল ইসলামসহ ২৫ জন আহত হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে বাঘা ও চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের এবং স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে প্রধান শিক্ষক আবদুল খালেক, আকাশ আহম্মেদ, রাহাবুল ইসলাম, রুবেল হোসেনের অবস্থা বেগতিক দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে বলে বাঘা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর জরুলী বিভাগের ডা. হাসিবুল ইসলাম। বাঘা থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আফফ. আছাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে সেনাবাহিনী ও পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করা হয়। তবে এ বিষয়ে বিকাল ৫টা পর্যন্ত কোন পক্ষ লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী আক্তার বলেন, প্রধান শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকরা পৃথকখাবে আমার কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। উভয় পক্ষের অভিযোগের ভিত্তিতে একটা তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। বিদ্যালয়ে কোন কমিটি না থাকায় সেটা জেলা শিক্ষা অফিসে পাঠানো হয়েছে।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে