প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল শনিবার রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘রেমিট্যান্স যোদ্ধা দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বললেন, “আগামী ২-৩ সপ্তাহের মধ্যেই সৌদি আরবের সঙ্গে বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো প্রবাসী শ্রমিকদের নিয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে যাচ্ছে। এটি হলে বাংলাদেশের শ্রমিকদের জন্য নিরাপত্তা ও সুরক্ষা আরও জোরদার হবে।”
বাংলাদেশের ইতিহাসে এমন কোনো চুক্তি আগে হয়নি। ভারত কিংবা পাকিস্তানের সঙ্গেও এমন চুক্তি হয়নি। এই চুক্তির মাধ্যমে সৌদি আরবে কর্মরত প্রবাসীদের নিরাপত্তা আরও বাড়বে-উল্লেখ করেন তিনি।
ড. আসিফ নজরুল আরও যেগা করে বলেন, “মালয়েশিয়ায় যাওয়া নিয়ে যেসব কর্মী গত বছর বিমান টিকিট ও ভিসা থাকা সত্ত্বেও যেতে পারেননি, তাদের পাঠানোর প্রক্রিয়াও ইতোমধ্যে শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে সামাজিক মাধ্যমে নানা সমালোচনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে। আমি যখন বললাম মালয়েশিয়া কর্মী নিচ্ছে, তখন অনেকে বলেছে যারা এখন অবৈধ হয়ে আছে, তাদের বৈধ করার ব্যবস্থা হয়নি, আবার নতুন করে পাঠানো হচ্ছে। অথচ মানুষের এত বড় দাবি পূরণ করার পরও গালিগালাজ করা হয়।”
তিনি বলেন, “মন্ত্রণালয় থেকে রিইন্ট্রিগ্রেশনে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রবাসী সেবা ডিজিটালাইজড করা হয়েছে, যাতে বিদেশগামী ও ফিরে আসা কর্মীদের হয়রানি কম হয়।”
‘বিদেশ মানেই বেহেশত না। বিদেশ যেতে ৮-১০ লাখ টাকা খরচ হয়, অথচ এমন জীবনযাপন করতে হয় যে দেশের খারাপ বস্তিতেও মানুষ ভালো থাকে। তাই যাচ্ছেন তো যাচ্ছেন, খোঁজ-খবর নিয়ে যান। প্রতারকের খপ্পরে পড়বেন না। ১০ লাখ টাকা থাকলে দেশে ছোট একটা ব্যবসা করেও ভালোভাবে বাঁচা যায়। আমি নিরুৎসাহিত করছি না, কিন্তু বলছি মরিয়া হয়ে বিদেশ যাবেন না। অনিশ্চিত ভবিষ্যতের জন্য ১৫ লাখ টাকা খরচ করে ঝাঁপ দেবেন না’-যোগ করেন এ উপদেষ্টা।