সাতক্ষীরায় ১১বছর বয়সী এক মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে শহিদুল ইসলাম (৫৫) নামের এক পোস্টমাস্টারকে আটক করে আইন-শৃংখলা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছে জনতা। রোববার (৩ আগস্ট) সকাল ১০টার দিকে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার আগরদাড়ি ইউনিয়নের বাবুলিয়া পোস্ট অফিসে এ ঘটনা ঘটে। আটক পোস্টমাস্টার শহিদুল ইসলাম একই উপজেলার বাঁশঘাটা গ্রামের মৃত শেখ বদরুদ্দীন হায়দারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, শিশুটি তার মায়ের প্রথম স্বামীর সন্তান। বাবুলিয়া গ্রামে শিশুর পিতার বাড়ি। তার পিতার সাথে মায়ের বিচ্ছেদ হলে তার মা পার্শ্ববর্তী বাঁশঘাটা এলাকায় দ্বিতীয় বিয়ে করেন। প্রায় প্রতিদিন শিশুটি ওই পোস্ট অফিসের সামনে তার মায়ের সাথে দেখা করতে যাওয়া-আসা করতো। রোববার সকালে শিশুটি তার মায়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সময় পোস্টমাস্টার শহিদুল ইসলাম তার অফিসের কাগজপত্র গুছিয়ে দিলে ১০টাকা দিবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে ঘরের মধ্যে ডেকে নেয়। এরপর ঘরের দরজা আটকে শিশুটিকে বিবস্ত্র করে ধর্ষণ করে। বিষয়টি স্থানীয় জনতা আঁচ করতে পেরে ঘরের দরজা খুলে শিশুটিকে উদ্ধার করে এবং পোস্টমাস্টার শহিদুল ইসলামকে আটকে রেখে পুলিশ ও র্যাবকে খবর দেয়। খবর পেয়ে র্যাব সদস্যরা নিপীড়নের শিকার শিশুটিকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে এবং পোস্টমাস্টার শহিদুল ইসলামকে আটক করে হেফাজতে নেয়।
এ ব্যাপারে পোস্ট অফিসের পিয়ন আশরাফ আলী বলেন, আমার অফিসে আসতে একটু দেরি হওয়ায় এসে দেখি মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে পোস্টমাস্টার শহিদুল ইসলামকে আটকে রেখেছে উত্তেজিত জনতা। পরে পুলিশ ও র্যাব এসে শহিদুল ইসলামকে নিয়ে গেছে।
একই কথা বলেন, গ্রাম পুলিশ সদস্য শহিদুল ইসলামও। তিনি বলেন, ঘটনার পরপরই পুলিশকে জানানো হয়। এরপর র্যাব এসে মেয়েটিকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে এবং অভিযুক্ত শহিদুল ইসলামকে আটক করেছে।
এ ব্যাপারে শিশুটির মা-ও একই অভিযোগ করেন।
সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (তদন্ত) জানান, মানসিক প্রতিবন্ধী শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে একজনকে র্যাব সদস্যরা আটক করেছে বলে শুনেছি। তবে আটক ব্যক্তিকে এখনো (বিকেল ৫টা) থানায় সোপর্দ করা হয়নি। কেউ লিখিত অভিযোগও করেনি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।