শেষ পর্যন্ত মুখ খুলেছে আমেরিকান ফ্যাশন ব্র্যান্ড আমেরিকান ঈগল। শুধু মুখই খোলেনি, ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর ইউফোরিয়া খ্যাত অভিনেত্রী সিডনি সুইনিকে ঘিরে তৈরি হওয়া বিতর্কে তার পক্ষেই অবস্থান নিয়েছে। ব্র্যান্ডটির সাম্প্রতিক বিজ্ঞাপনী প্রচারণা ঘিরে বর্ণবাদ-সম্পর্কিত ইঙ্গিতপূর্ণ বার্তা ছড়ানোর অভিযোগ ওঠে। যা সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়। এই বিতর্কিত প্রচারণার শিরোনাম ছিল ‘ঝুফহবু ঝবিবহবু ঐধং এৎবধঃ ঔবধহং’, যেখানে ২৭ বছর বয়সি সুইনিকে আমেরিকান ঈগলের শরৎকালীন সংগ্রহের পোশাকে মডেল হিসেবে দেখা যায়। তবে, অনেক সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারী এই শ্লোগানটির ‘মৎবধঃ লবধহং’ শব্দ যুগলকে ‘মৎবধঃ মবহবং’ (সুৎকৃষ্ট বংশগত বৈশিষ্ট্য)-এর সঙ্গে মিলিয়ে বর্ণবাদী বা ইউজেনিকস-ভিত্তিক (জাতিগত শুদ্ধতা) ইঙ্গিত হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। যা এক ধরনের শ্বেতাঙ্গ শ্রেষ্ঠত্বের ধারণাকে প্রশ্রয় দিতে পারে বলে দাবি করা হয়। সেলন নামে যুক্তরাষ্ট্রের একটি প্রকাশনা তাদের এক প্রতিবেদনে দাবি করেছে, এ ধরনের ভাষা অতীতে ‘শ্বেতাঙ্গতা, রোগা শরীর এবং চেহারাগত আকর্ষণীয়তা’ উদযাপনের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হতো এবং আমেরিকান ঈগলের প্রচারণাকে ‘একটি সংবেদনশীলতা-বিবর্জিত বিপণন কৌশল’ হিসেবে চিহ্নিত করে। বিতর্ক চরমে ওঠার পর গত ১ জুলাই আমেরিকান ঈগল তাদের অফিসিয়াল ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্টে একটি বিবৃতি প্রকাশ করে প্রচারণার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে। ব্র্যান্ডটি জানায়, ‘ঝুফহবু ঝবিবহবু ঐধং এৎবধঃ ঔবধহং’ - এ কথাটি সবসময়ই জিন্সকে ঘিরেই ছিল। এটা ওর জিন্স, ওরই গল্প’। আমরা সবসময় উদযাপন করব কীভাবে সবাই আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে তাদের মতো করে অঊ জিন্স পরিধান করেন। ভালো জিন্স সবার জন্যই ভালো।’