প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন শনিবার সকালে রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বললেন, যখন একটি দেশে রাষ্ট্র, সরকার ও দল এক হয়ে যায়, তখন সবকিছু একসঙ্গে ধসে পড়ে। নির্বাচন সিস্টেমের ওপর মানুষের আস্থা নষ্ট হয়ে গেছে। মানুষকে কেন্দ্রে নিয়ে আসা একটা বড় চ্যালেঞ্জ।
এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, আগামী নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন কারো পক্ষে বা বিপক্ষে কাজ করবে না। ১৮ কোটি মানুষের হয়ে কাজ করবে। ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হচ্ছে। গত নির্বাচনে যেসব প্রিসাইডিং অফিসার সমস্যা তৈরি করেছে, তাদের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নেবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভ্রান্তি সৃষ্টির বিষয়ে সিইসি নাসির উদ্দিন বলেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে, যা মোকাবিলায় কমিশন কাজ করছে।
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য নির্বাচন কমিশন সর্বোচ্চ চেষ্টা করছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হলেও, নির্বাচন ঘনিয়ে এলে পরিস্থিতির উন্নতি হবে আশাব্যক্ত করেন সিইসি।
সুষ্ঠু, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর পূর্ণ সহযোগিতা প্রয়োজন। কমিশনের দায়িত্ব হবে সবার জন্য সমান সুযোগ সৃষ্টি করা এবং নির্বাচনী পরিবেশকে আয়নার মতো স্বচ্ছ রাখা। বিশ্ববাসীর কাছে প্রমাণ করতে চাই যে আমাদের প্রচেষ্টা ও আন্তরিকতায় কোনো ঘাটতি ছিল না-যোগ করেন নাসির উদ্দীন।
নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে একাধিক দফায় আলোচনা করা হবে। কমিশনের একমাস মেয়াদি পরিকল্পনায় শুধু রাজনৈতিক দল নয়, সব স্টেকহোল্ডারকেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার।