২৩ বছর পর কামরাঙ্গীরচরের ডালিয়া হত্যা মামলায় স্বামীর ফাঁসি

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৮:০৮ পিএম | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৩:৪৭ পিএম
২৩ বছর পর কামরাঙ্গীরচরের ডালিয়া হত্যা মামলায় স্বামীর ফাঁসি

দুই দশকেরও বেশি সময় পর রাজধানীর কামরাঙ্গীরচরে গৃহবধূ ডালিয়া বেগম হত্যা মামলায় স্বামী টিটুকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রোববার (১০ আগস্ট) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। একইসঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

আদালতের রায়ে টিটুর মা আমেনা বেগম ও ভাই শাহ আলমকে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় খালাস দেওয়া হয়েছে। রায় ঘোষণার সময় টিটু আদালতে উপস্থিত ছিলেন এবং রায় পরবর্তী সাজা পরোয়ানা জারি করে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

মামলার নথি অনুযায়ী, ১৯৯৭ সালে ডালিয়ার সঙ্গে টিটুর বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই টিটু ও তার পরিবারের সদস্যরা ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য তাকে নানাভাবে নির্যাতন করত। এ কারণে ডালিয়া আদালতে যৌতুক মামলা করেছিলেন। পরে আপস করে মামলা তুলে নিলেও যৌতুকের দাবি আবারও ওঠে।

২০০২ সালের ৭ সেপ্টেম্বর সকালে টিটু ডালিয়ার শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেন। অভিযোগে বলা হয়, এ ঘটনায় টিটুর ভাই শাহ আলম, বোন জীবনী, ভাই মোস্তফা ও মা আমেনা বেগম সহযোগিতা করেছিলেন। গুরুতর দগ্ধ ডালিয়াকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করায়।

ঘটনার পাঁচ দিন পর, ১২ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার বাবা রোস্তম আলী কামরাঙ্গীরচর থানায় মামলা করেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৩ সেপ্টেম্বর ডালিয়ার মৃত্যু হয়। এরপর ২০০৩ সালের ৬ জানুয়ারি থানার উপপরিদর্শক জাফর আলী টিটুসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেন। ওই বছরের ১৩ মার্চ অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয় এবং আদালত মোট ১২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে এ রায় ঘোষণা করে।

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে