অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না: সিপিডি

নিজস্ব প্রতিবেদক
| আপডেট: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:১৭ পিএম | প্রকাশ: ১০ আগস্ট, ২০২৫, ০৪:৩৫ পিএম
অর্থনৈতিক শ্বেতপত্রের সুপারিশ বাস্তবায়ন হচ্ছে না: সিপিডি

অর্থনীতির ভারসাম্য আনা, বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নয়ন ও কর্মসংস্থান সৃষ্টির মতো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য পূরণে গঠিত টাস্কফোর্সের সুপারিশ বাস্তবায়নে দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই বলে মন্তব্য করেছে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি)। সংস্থাটি মনে করছে, অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে কিছু ইতিবাচক পদক্ষেপ নেওয়া হলেও জীবনযাত্রার খরচ, রাজস্ব আহরণ ও কর্মসংস্থানে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি।

রোববার (১০ আগস্ট) রাজধানীর একটি হোটেলে অন্তর্বর্তী সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক সংলাপে সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর গত ১০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্স গঠন করে সরকার, যা ৩০ জানুয়ারি প্রতিবেদন জমা দেয়। প্রতিবেদনে অর্থনীতিতে স্থিতিশীলতা আনা, ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তুতি, মধ্যমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ, ভঙ্গুর খাত চিহ্নিত করে সংস্কার শুরু, স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নত দেশে উত্তরণের কৌশল, এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কার্যক্রম গ্রহণ এবং উন্নয়ন সহযোগীদের সঙ্গে সংলাপ ফোরাম গঠনের মতো সুপারিশ ছিল।

তিনি জানান, এসব সুপারিশের আংশিক প্রভাব ব্যাংক খাত, বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেন ও মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে দেখা গেলেও জিডিপি প্রবৃদ্ধি, বেসরকারি খাতে ঋণপ্রবাহ, রাজস্ব আহরণ ও বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে নেতিবাচক ধারা অব্যাহত রয়েছে। মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমলেও কমার গতি ধীর, বিনিয়োগের প্রবাহ নেই, কর্মসংস্থান বাড়ছে না এবং রাজস্ব আহরণও স্থবির।

স্বল্প আয়ের মানুষের সহায়তায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি ও ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) খোলা ট্রাকের মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি চালু রাখার আহ্বান জানান তিনি। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, জুন মাসে কিছুটা কমলেও জুলাই মাসে খাদ্য ও অখাদ্য উভয় খাতে মূল্যস্ফীতি বেড়েছে। জুলাইয়ে সার্বিক মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৮ দশমিক ৫৫ শতাংশ, যা জুনে ছিল ৮ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

সিপিডি মনে করে, এক বছরে সময় সীমিত হলেও অন্তত টাস্কফোর্সের গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার প্রক্রিয়া শুরু করা যেত। ফাহমিদা খাতুন বলেন, “উচ্চ মূল্যস্ফীতির মধ্যে স্বল্প আয়ের মানুষের জীবনযাত্রা কষ্টকর হয়ে পড়েছে। তাই তাদের জন্য সহায়তা কর্মসূচি স্থায়ীভাবে চালু রাখতে হবে।”

আপনার জেলার সংবাদ পড়তে