শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২
শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৯শে অগ্রহায়ণ ১৪৩২
দেশের যেকোনো মাজার, মসজিদ, মাদরাসা ও এতিমখানায় হামলা চালানো বা ধ্বংসের চেষ্টা করলে কাউকেই ছাড় দেওয়া হবে না—এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি স্পষ্টভাবে জানান, হামলার ঘটনায় মামলা হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেবে এবং হামলাকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে।
রোববার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় কিশোরগঞ্জের ঐতিহাসিক পাগলা মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ সতর্কবার্তা দেন তিনি। এর আগে সকাল ৯টায় সদর উপজেলার মারিয়া ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া এলাকায় জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র ঘুরে দেখেন ধর্ম উপদেষ্টা।
তিনি জানান, ইতোমধ্যে দেশের বিভিন্ন স্থানে মাজার ও ধর্মীয় স্থাপনায় হামলার ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় মামলা হয়েছে এবং কিছু আসামি গ্রেপ্তার হয়েছেন। প্রতিটি মাজার ও মসজিদে সিসি ক্যামেরা স্থাপনের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, এতে হামলাকারীদের শনাক্ত করা সহজ হবে। তবে শুধু প্রযুক্তির ওপর নির্ভর না করে সামাজিক সচেতনতা বাড়ানোই সবচেয়ে জরুরি। কারণ দেশের প্রতিটি মাজারে পুলিশ মোতায়েন করা সম্ভব নয়, তাই স্থানীয় জনগণকেই নিরাপত্তায় সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।
পাগলা মসজিদ পরিদর্শনকালে তিনি আরও জানান, শিগগিরই তুরস্কের আধুনিক নকশায় ১০ তলা বিশিষ্ট বহুমুখী ইসলামিক কমপ্লেক্স নির্মাণ শুরু হবে। এতে থাকবে ধর্মীয় ও সাধারণ শিক্ষা, আইটি সেকশন, সমৃদ্ধ লাইব্রেরি, ক্যাফেটেরিয়া এবং অনাথ ও এতিম শিশুদের শিক্ষার সুযোগ। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের মেয়াদের মধ্যেই এর ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হবে।
মসজিদের তহবিল প্রসঙ্গে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, পাগলা মসজিদের ৯০ কোটি ৬৪ লাখ টাকা ১৩টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এফডিআর হিসেবে সংরক্ষিত রয়েছে। এর লভ্যাংশ গরিব, অসহায়, অনাথ ও অসুস্থদের সহায়তায় ব্যয় করা হয়। ইতিমধ্যে প্রায় ৮০ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। দরিদ্র শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি দেওয়ার জন্যও এই তহবিল ব্যবহারের প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ সময় জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মিজাবে রহমত, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইমরানুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা আলমগীর হোসাইন তালুকদার, আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়ার প্রিন্সিপাল মাওলানা শিব্বির আহমদসহ মসজিদ কমিটির সদস্য ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন। পরে দুপুরে তিনি আল জামিয়াতুল ইমদাদিয়া আয়োজিত ‘ইসলামী অর্থনীতির গুরুত্ব’ শীর্ষক আলোচনায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।
