ঢাবির ১৮ হলে র কমিটি বহাল, ‘গুপ্ত রাজনীতি’ নিষিদ্ধে আশ্বাস

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলোতে ঘোষিত জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটি বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব। বৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ ঘোষণা দেন।

রাকিব জানান, গত শনিবার (৯ আগস্ট) হল পর্যায়ে ছাত্র রাজনীতির ধরন নির্ধারণ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যে বৈঠক হয়েছিল, তার অগ্রগতি জানতে তারা উপাচার্যের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। প্রশাসন জানিয়েছে, হল পর্যায়ের রাজনীতির কাঠামো নির্ধারণে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করা হবে। ইতিমধ্যে ২৩টি ছাত্র সংগঠনের মতামত নেওয়া হয়েছে, এবার সাধারণ শিক্ষার্থীদের অভিমতও শোনা হবে।

তিনি বলেন, “আমাদের ঘোষিত হল কমিটিগুলো বহাল থাকবে।” একই সঙ্গে প্রশাসনকে তারা অবহিত করেছেন যে, চিহ্নিত ছাত্রলীগ সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনা প্রয়োজন। এ বিষয়ে শাহবাগ থানায় দায়ের হওয়া মামলায় নতুন অভিযুক্ত যুক্ত করার প্রক্রিয়া চলছে বলে প্রশাসন তাদের জানিয়েছেন।

বৈঠকে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ প্রসঙ্গও উঠে আসে। রাকিবের ভাষ্যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা নিজেরাই স্বীকার করেছেন যে ইসলামী ছাত্রশিবির পরিচয় গোপন করে সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠনের মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার করছে, যেমনটা অতীতে ছাত্রলীগও করেছে। তার দাবি, গণঅভ্যুত্থানের পর ক্যাম্পাসে যে বড় সংকটগুলো তৈরি হয়েছে, তার পেছনে গুপ্ত রাজনীতি বড় কারণ। প্রশাসন আশ্বস্ত করেছে যে, এই গুপ্ত রাজনীতি বন্ধের বিষয়টি রূপরেখায় অন্তর্ভুক্ত থাকবে।

তিনি অভিযোগ করেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি ফেসবুক গ্রুপে নারী শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং গণআন্দোলনের নেতাদের নিয়ে কটূক্তি, হয়রানি ও অপপ্রচার চালানো হচ্ছে। বিশেষভাবে উল্লেখ করেন, গ্রুপটির অ্যাডমিন এবং ছাত্রলীগের চিহ্নিত সন্ত্রাসী জুলিয়াস সিজার তালুকদার এই কর্মকাণ্ডে জড়িত এবং ছাত্রদলের হল কমিটি ঘোষণাকে ঘিরে সৃষ্ট মবের অন্যতম নেতৃত্ব দিয়েছেন।

রাকিব বলেন, কারা ছাত্রদলকে লক্ষ্য করে সাইবার বুলিং করছে এবং গুপ্ত রাজনীতির মাধ্যমে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে তা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তদন্ত করবে। প্রশাসন তাদের জানিয়েছে, শনিবারের (১৬ আগস্ট) মধ্যেই গুপ্ত রাজনীতি নিষিদ্ধ, হলে ছাত্র রাজনীতির ধরন চূড়ান্ত এবং ছাত্রলীগের কমিটি ও মামলার অগ্রগতির বিষয়ে আপডেট দেওয়া হবে।

তিনি আরও জানান, ছাত্রদল সচেতন ছাত্র সংগঠন হিসেবে সবসময় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পাশে রয়েছে এবং ক্যাম্পাসে সুষ্ঠু রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে সহযোগিতা করবে।