এবার ভারত থেকে ১৫০ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি

দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম খানিকটা বেড়ে যাওয়া ও দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে এবারে দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ১৫০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে সরকার। বন্দরের ৫টি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানকে এসব পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে। তবে আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবে। এদিকে পেঁয়াজ আমদানির খবরে দু’দিনের ব্যবধানে দেশি পেঁয়াজের দাম কমেছেকেজিতে ১০ টাকা। দুদিন আগে ৭৫ টাকা কেজির পেঁয়াজ আজ বিক্রয় হচ্ছে ৬৫ টাকায়। (রোববার, ১৭ আগস্ট) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলি স্থলবন্দরের উদ্ভিদ সংগনিরোধের উপ-সহকারী কর্মকর্তা ইউসুফ আলী।

তিনি জানান,হিলি স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানির জন্য ৫টি প্রতিষ্ঠানকে ৩০ টন করে মোট ১৫০ টনের অনুমতি দিয়েছে সরকার। তারা পেঁয়াজ আমদানি করতে পারবেন যেকোনো সময় এবং তাদের সবধরনের সহযোগিতা করার কথা জানিয়েছেন এই কর্মকর্তা।

পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি পাওয়া প্রতিষ্ঠানগুলো হলো, হিলি সততা বাণিজ্যলায়, নাশাত ট্রের্ডাস, আল মক্কা ইমপ্রেস, সুরাইয়া ট্রের্ডাস ও জগদীশ চন্দ্র রায় নামে একটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান। প্রত্যক আমদানিকারক ৩০ টন করে আমদানির অনুমতি পেয়েছেন।

হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারক নুর ইসলাম জানান,সরকার পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিয়েছে,তবে সেটা খুবই কম। এভাবে আইপি দিলে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হবো। মাত্র ৩০ টন পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিচ্ছে, যা একটি ভারতীয় ট্রাকে আসবে। আগের সময়গুলোতে ২ হাজার থেকে ৫ হাজার টন পর্যন্ত আইপি দিতো, কিন্ত সেটা এবার সরকার করছে না। এতে আমরা বিপাকে পড়েছি।

তিনি আর জানান, এলসি করতেছি,যদি সবকিছু ঠিকঠাক থাকে তাহলে আজ বিকেল থেকে পেঁয়াজ আমদানি শুরু হতে পারে।

এদিকে হিলি কাস্টমস সূত্রে জানা যায়, ভারত থেকে সবশেষ চলতি বছরের ৩ই মার্চ পর্যন্ত এই বন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল ।