চলতি বছরে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ হাজার ১১৫ জনে। মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হেলথ অ্যান্ড ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোল রুম থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে নতুন করে ৩৫৭ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এর মধ্যে ঢাকায় ভর্তি হয়েছেন ১৩৮ জন এবং ঢাকার বাইরের বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২১৯ জন। যদিও অনেক ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী হাসপাতালে ভর্তি হন না, তাই প্রকৃত আক্রান্তের সংখ্যা আরও বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, চলতি বছরে ডেঙ্গুতে এখন পর্যন্ত মারা গেছেন ১০৫ জন। এর মধ্যে জানুয়ারিতে ১০ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩ জন, এপ্রিলে ৭ জন, মে মাসে ৩ জন, জুনে ১৯ জন, জুলাইয়ে সর্বোচ্চ ৪১ জন এবং আগস্টের ১৯ তারিখ পর্যন্ত মারা গেছেন ২২ জন। মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে ৫৯ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ শতাংশ নারী।
অন্যদিকে, চলতি বছর সবচেয়ে বেশি রোগী ভর্তি হয়েছেন জুলাই মাসে, সংখ্যা ১০ হাজার ৬৮৪। জুনে ভর্তি হয়েছেন ৫৯৫১ জন, জানুয়ারিতে ১১৬১ জন, ফেব্রুয়ারিতে ৩৭৪ জন, মার্চে ৩৩৬ জন, এপ্রিলে ৭০১ জন, মে মাসে ১৭৭৩ জন এবং আগস্টের ১৯ দিনেই ভর্তি হয়েছেন ৬১৩৫ জন রোগী।
বর্তমানে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন ১২৭৯ জন রোগী। এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ৪৫৩ জন এবং ঢাকার বাইরের হাসপাতালে ৮২৬ জন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
বাংলাদেশে এক বছরে হাসপাতালে ভর্তি ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা সর্বোচ্চ হয়েছিল ২০২৩ সালে, তখন মোট ভর্তি হয়েছিল ৩ লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন। এর আগে ২০২২ সালে ভর্তি হয়েছিল ৬২ হাজার ৩৮২ জন, ২০২১ সালে ২৮ হাজার ৪২৯ জন, ২০২০ সালে ১৪০৫ জন এবং ২০১৯ সালে ভর্তি হয়েছিল ১ লাখ ১ হাজার ৩৫৪ জন রোগী।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, এ বছরও ডেঙ্গুর প্রকোপ ক্রমেই বাড়ছে। সঠিক সময়ে মশকনিধন কার্যক্রম জোরদার না করলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে।