বারনই নদীর দূষণ ও দখল রক্ষায় দিনব্যাপী আলোচনা সভা, মানববন্ধন ও গম্ভীরা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার (১৩ অক্টোবর) দুপুরে নওহাটা মহিলা ডিগ্রি কলেজের সভাকক্ষে 'জীবন-জীবিকা, সংস্কৃতি, পরিবেশ ও ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য বারনই নদী রক্ষায় করণীয়' শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এই কর্মসূচির আয়োজন রুলফাও, এএলআরডি ও বেলা সংগঠন। এটি“নদীর জন্য একসাথে- নদী রক্ষায় প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ”ক্যাম্পেইনের অংশ হিসেবে অনুষ্ঠিত হয়।
বারনই নদী সংলগ্ন নওহাটা শ্মশান ঘাটে সকাল ১০ টায় মানববন্ধন ও গম্ভীরা পরিবেশনার মধ্যদিয়ে এই কর্মসূচির শুরু হয়।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নওহাটা পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা বিএনপির সদস্য শেখ মকবুল হোসেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন রুলফাও-এর নির্বাহী পরিচালক আফজাল হোসেন। সামাজিক কল্যাণ পরিষদের নির্বাহী পরিচালক সম্রাট রায়হানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন- পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফুর রহমান অঙ্কুর, পরিবেশ অধিদপ্তর রাজশাহী কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. কবির হোসেন, রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা সেলিম রেজা রঞ্জু, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবুল কালাম মুহম্মদ আজাদ, রাজশাহী রক্ষা সংগ্রাম পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বাপার কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সদস্য জামাত খাঁন, বেলা রাজশাহী কার্যালয়ের সমন্বয়কারী তন্ময় স্যানাল, পরিবর্তনের নির্বাহী পরিচালক রাশেদ রিপোন, বিইউকেএস এর নির্বাহী পরিচালক হাসিনুর রহমান, এএলআরডি'র প্রতিনিধি শবনাম খান রিপা, সংস্কৃতি ব্যক্তিত্ব ওয়ালিউল্লাহ খান বাবু, দিনের আলো হিজড়া সংঘের সভাপতি মোহনা, বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের সভাপতি মোস্তফা সরকার বিজলী।
আলোচনা শেষে বাঁচার আশা সাংস্কৃতিক সংগঠনের শিল্পীরা গম্ভীরা পরিবেশনা করেন। গানের কথায় নদী রক্ষার গুরুত্ব ও পরিবেশ সচেতনতার বার্তা তুলে ধরা হয়।
দিনব্যাপী আয়োজনে নদীপাড়ের শতাধিক নদীপাড়ের সাধারণ মানুষ, শিক্ষার্থী, উন্নয়নকর্মী ও সাংবাদিক অংশ নেন। বক্তারা আশা প্রকাশ করেন, এই ধরনের জনসচেতনতা কার্যক্রম নদী সংরক্ষণ আন্দোলনে নতুন গতি আনবে।
সভায় বক্তারা বলেন, এক সময় বারনই নদী রাজশাহীর কৃষি, সংস্কৃতি ও পরিবেশের প্রধান ভরকেন্দ্র ছিল। কিন্তু ক্রমাগত দখল ও দূষণ কারণে নদীটি আজ অস্তিত্ব সংকটে। তাঁরা বলেন, নদী রক্ষায় প্রশাসন, স্থানীয় সরকার, পরিবেশবাদী সংগঠন ও জনগণের সমন্বিত পদক্ষেপ এখন সময়ের দাবি।