পুঠিয়ায় মাদকের রমরমা কেনাবেচা

কে এম রেজা; পুঠিয়া, রাজশাহী | প্রকাশ: ১৬ অক্টোবর, ২০২৫, ০১:২৪ পিএম
পুঠিয়ায় মাদকের রমরমা কেনাবেচা
রাজশাহীর পুঠিয়ায় পৌরসভার ভিতরে মাদকের রমরমা কেনাবেচা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মাদক সেবনকারীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এলাকায় চুরির সংখ্যাও ব্যাপকহারে বৃদ্ধি পেয়েছে। পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডে আদিবাসিপাড়ায় প্রকাশ্যে প্রতিদিন হাজার হাজার লিটার চোলাই মদ তৈরি হচ্ছে। যা থানা হতে আদিবাসিপাড়ার দুরত্ব মাত্র প্রায় ৬শত মিটারের ভিতর হবে। আদিবাসিপাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয়রা জানায়, পাড়ার প্রতিটি মাদককারবারিদের সঙ্গে মাদকদ্রব্য কর্মকর্তা এবং পুলিশের কিছু সদস্যের সমঝোতা রয়েছে। এরপর আদিবাসীপাড়ায় প্রতিদিন একটি রাজনৈতিক দলের কিছু ক্যাডার চোলাই মদের টাকা নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সংশ্লিষ্ট মাদক বিক্রেতা বলছে, পুলিশ এবং মাদকদ্রব্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে চুক্তি করে তারা মাদক কারবার করে আসছে। চুক্তি না করলে একদিনও মাদককারবার করা সম্ভব না। অপরদিকে রাজশাহী জেলা পুলিশের একটি গোয়েন্দা শাখার সদস্যদের মাদককারবারীদের নিকট হতে উপঢোকন নেওয়ার জন্য মাদককারবারিরা পৌরসদরের সবস্থানে মাদক কেনাবেচা করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আদিবাসিপাড়ায় নতুন কায়দায় চোলাই মদ বিক্রি হচ্ছে। তা হলো, বিভিন্ন স্থানে পরিত্যক্ত অবস্থায় পরে থাকা কমল পানির বোতলের ভিতরে চোলাই মদ ঢোকায়ে চড়া দামে বিক্রি করা হচ্ছে। পৌরবাসীর পক্ষ হতে একাধিকবার মৌখিক এবং লিখিতভাবে থানায় অভিযোগ দিয়ে কোনো সুরাহা পাচ্ছে না। চোলাই মদ সেবন করে রাস্তায় বেহুস হয়ে যেখানে সেখানে অনেক ব্যক্তিকে পরে থাকতে দেখা যায়। আবার কেউ মদ সেবন করতে এসে চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আদিবাসিপাড়ার পার্শ্ববর্তী এলাকার স্থানীয়রা বলেন, চোলাই মদ তৈরি করার পাশেই একটি উচ্চ বিদ্যালয় রয়েছে। বিদ্যালয় চলাকালীন সময়ে ছাত্রছাত্রীরা প্রতিনিয়ত মাদক সেবনকারীদের রোশানলে পড়তে দেখা যায়। পাড়ায় চোলাই মদ বিক্রির পাশাপাশি অনেকে আবার অসামাজিক কার্যকলাপের সঙ্গে লিপ্ত হয়ে পড়ার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের দাবি আদিবাসিপাড়াটি সরকারি খাস সম্পত্তির ওপর রয়েছে। সরকারের উচিত হবে, এদের অন্যত্রে পূর্ণবাসন করা। এ ব্যাপারে মাদকদ্রব্যের পুঠিয়া সার্কেলের পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম বলেন,আদিবাসী পাড়ায় আমরা অভিযানে গেলে চোলাই মদ তৈরি করার কোনো আলামত পায় না। মদ তৈরিকারীরা আগে থেকে কিভাবে যেন বুঝতে পরে। আদিবাসীপাড়া থানার পাশে। থানা একটু কঠোর হলে,আদিবাসীপাড়ায় চোলাই মদ তৈরি করতে পারবে না। আমাদের লোকবল সংকট রয়েছে। তাই আমরা ঘনঘন অভিযান করতে পারচ্ছি না।
আপনার জেলার সংবাদ পড়তে