পাহাড়ে বিজিবির চেষ্টায় পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতির অঙ্গীকার

এফএনএস (সাকিব মামুন; লংগদু ও বাঘাইছড়ি, রাঙ্গামাটি) : | প্রকাশ: ৩০ অক্টোবর, ২০২৫, ০৪:৩৬ পিএম
পাহাড়ে বিজিবির চেষ্টায় পাহাড়ি-বাঙালির সম্প্রীতির অঙ্গীকার

পাহাড়ের বিরাজমান উত্তপ্ত পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি অটুট রাখতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ বিজিবির তৎপরতা লক্ষণীয় ও প্রশংসিত।

পার্বত্যাঞ্চলের এমন পরিস্থিতিতে রাজনগর জোনের চরুয়াখালী বিজিবি ক্যাম্পের দায়িত্বপূর্ণ এলাকার বাসিন্দা আজিজুল হক ও সিদ্দিক সূশীলময় চাকমার থেকে ভূমি ক্রয় করে এবং জজ মিয়া সুমন চাকমার নিকট হতে টিলা জমি রাঙামাটি জেলা আদালতের এফিডেভিটের মাধ্যমে ক্রয় করেছিল।

এসব জমি বাঙালির কাছে বিক্রয় করায়, স্থানীয় পাহাড়িদের মধ্যে পূর্ব থেকেই অসস্তোষ বিরাজ করছিল। বিষয়টি নিয়ে বিজিবি এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিগণ কয়েক দফায় মীমাংসার উদ্যোগ নিলেও পাহাড়িদের অসহযোগিতার কারণে তা সম্ভব হয়নি।

বিষয়টি নিয়ে গত ২০ অক্টোবর পাহাড়ি-বাঙালির বসতঘর ভাংচুরের ঘটনা ঘটে এবং পরে থানায় মামলা হয়। মামলায় লংগদু থানা পুলিশ ৩জন বাঙালিকে আটক করে কারাগারে প্রেরণ করে।

এমন পরিস্থিতি শান্ত রাখতে গত ২২ অক্টোবর বিজিবি পাহাড়ি-বাঙালির ক্ষতিগ্রস্ত ৫টি পরিবারে নগদ অর্থ, খাদ্য ও বস্ত্র সহায়তা প্রদান করা হয়।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবা (৩০ অক্টোবর) চরুয়াখালী বিজিবি ক্যাম্পে রাজনগর জোন কমান্ডার লে. কর্নেল নাহিদ হাছান এবং বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা মারজান বেসামরিক প্রশাসনের মধ্যস্থতায় এবং স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে বিষয়টির স্থায়ী সমাধানের জন্য একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে উভয় পক্ষ শর্ত সাপেক্ষে আপোষ মীমাংসায় রাজি হোন এবং দায়েরকৃত উভয় পক্ষের মামলা প্রত্যাহার করার কথা নিশ্চিত করেন।

রাজনগর জোন কমান্ডার বলেন, সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি বিজিবি সবসময় পার্বত্য এলাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার লক্ষ্যে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। বিজিবি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে, পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও সহাবস্থানের মাধ্যমে যে কোন বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে মীমাংসা সম্ভব এবং বিজিবি সেই লক্ষ্যে নিরলসভাবে কাজ করছে।