কৃষক না হয়েও প্রণোদনার সার ও বীজ পেলেন

পাবনার চাটমোহরে কৃষক বা চাষি না হয়েও কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির সার ও বীজ পেলেন অনেকে। এদের মধ্যে কেউ চা বিক্রেতা,সাইকেল মেকার,বেকার কিংবা ভূমিহীন। একই পরিবারে পিতা-পত্রও পেয়েছেন এই উপকরণ। কৃষি প্রণোদনা প্রাপ্তির তালিকা তৈরিতে ব্যাপক অনিয়ম করা হয়েছে। এমন ঘটনা ঘটেছে পাবনার চাটমোহর উপজেলাতে। 

অভিযোগ উঠেছে,শুধুমাত্র রাজনৈতিক কর্মী হওয়ার কারণেই সরকারি সার ও বীজ পেয়েছেন কেউ কেউ। সার ও বীজ পাওয়ার পর তা বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। অথচ যারা চাষাবাদ করেন,তা পেলেন না এই সার ও বীজ।  গত বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সকাল ১১টায় চাটমোহর উপজেলাতে কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় বিনামূল্যে সার ও বীজ বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধন করা হয়। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে রবি মৌসুমে সরিষা,গম,সূর্যমুখি,মসুর,খেসারী,অড়হড় ও শীতকালীন পেঁয়াজ আবাদ ও উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকদের মাঝে এই সার বীজ বিতরণ করা হয়। এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী।   

অভিযোগ রাজনৈতিক বিবেচনায় কৃষি প্রণোদনা কর্মসূচির আওতায় সার ও বীজ পেয়েছেন অনেকে। অথচ প্রকৃত কৃষক অনেকেই বাদ পড়েছেন এই তালিকা থেকে। এনিয়ে কৃষকদের অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে অনেকে বলেন,কৃষি অফিসের লোকজনের যোগসাজসে এই নামের তালিকা করেছেন। এতে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রকৃত কৃষককে। সার ও বীজ পেয়েছেন এমন কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান,তারা দল করে,তাই এগুলো পেয়েছে। কেউ বিক্রি করেছে আবার কেউ অন্য উপজেলাতে আত্মীয়কে দিয়েছে। এ বিষয়ে জানার জন্য উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ কুন্তলা ঘোষের সাথে বারবার যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। 

এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুসা নাসের চৌধুরী বলেন,যদি এ ধরণের কোন ব্যক্তির নাম তালিকায় থাকে,তাহলে অবশ্যই তার নাম বাদ দেওয়ার পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  উল্লেখ্য.রবি মৌসুমে এ উপজেলায় ১০ হাজার ১শত জন ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকের মাঝে এই সার ও বীজ প্রদান করা হচ্ছে।